মূল কথা হলো তাদের কাছে কিন্তু আমাদের মত ছোট ইউজারদের মত এত কম পরিমাণ ডলার নেই। আমরা যারা ছোট ট্রেডার বা ইউজার আছি তাদের কাছে ১০০ ডলার অনেক কিছু। কোন কয়েন নিয়ে ট্রেড করার পর যদি সেটা বেড়ে ১১০ বা ১২০ হয় তখন আমরা সাথে সাথে বিক্রি করে দেই তখন মনে হয় এটাই আমাদের অনেক কিছু এবং আমাদের কাছে অনেক দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এটাই হচ্ছে আমাদের মেন্টালিটি এবং আবেগ। আপনি যে ট্রেডারের কথা বললেন তার হয়তো লক্ষ লক্ষ বা কোটি কোটি ডলার থাকতে পারে যার জন্য সে বিটকয়েন বিক্রি করার প্রয়োজন মনে করেনি। যদি আমাদের কাছেও অমন লক্ষ লক্ষ বা কোটি কোটি ডলার থাকে তাহলে আমরাও বিটকয়েন হোল্ড করে রাখতাম তখন আমাদের আবেগ এবং ইমোশন দুটোই কন্ট্রোল হত।
ইমোশনের জায়গা মূলত এখানেই কেননা আমাদের কাছে ১০ ডলার বা পাঁচ ডলার অনেক কিছু। যেমন আমি কিছুদিন একটি বেটিং সাইটে কিছু বাজি ধরতাম সেখানে আমি দুই ডলার বা পাঁচ ডলারের উপরে নিতাম না কিন্তু কিছু কিছু জুয়ারু আছে যারা মাত্র ১০ ডলারের জন্য এক হাজার ডলার পর্যন্ত বাজি ধরতে পারে। তাই তাদের ইমোশন এর সাথে আমাদের ইমোশন কখনো তুলনা হবে না। ঠিক ট্রেডিং এর ক্ষেত্রেও এরকমই যারা বড় ট্রেডার তারা কোন কয়েন বা টোকেনের উপর সর্বনিম্ন 1 হাজার ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে ১০-৫ ডলার কোন ঘটনা নয় তাই ইমোশন তাদের ক্ষেত্রে যে ভঙ্গিমায় কাজ করে আমাদের সাথে তার উল্টা কাজ করে। যার যতটুকু ইনভেস্টমেন্ট করার ক্ষমতা আছে তার ততটুকুই ইমোশন কন্ট্রোল করার ক্ষমতা আছে। আমাদের ১০ ডলারের লাভ এবং তাদের ১০০০ ডলারের লাভ সমান ইমোশনে কাজ করে না।