ক্রিপ্টো নিয়ে আমি নিজেও ভয়ে থাকি। কখন কে কই দিয়ে ধরে ফেলে কে জানে। এজন্য একটা ছোট বাটন ফোন কিনছি স্যামসাং এর। বাহিরে গেলে ঐটা নিয়ে বাহিরে যাই। কাজটাজ হয়ে যায় যোগাযোগের এই আরকি। আর যদি এমন কোনো পরিস্থিতিতে পড়ি যে স্মার্ট ফোন না নিলেই না, যেমন কোনো অনুষ্ঠান, ঘোরা ফিরা, ট্রুর সেক্ষেত্রে ক্রিপ্টো রিলেটেট যা কিছু আছে, ওয়ালেট বলেন বা একচেন্জ বলেন (metamask, trust wallet, binance, kuCoin), সব কিছু আগে ফোন দিয়ে উড়াই

। তারপর সেটা নিয়ে বাহিরে যাই। (আবশ্যই সব কিছুর ব্যাকআপ করা আছে আগে থেকেই)।
বাটন ফোন তো যোগাযোগ এর জন্য কাজে লাগে ঠিক আছে, তবে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে সেটা ছাড়া বাইরে যাওয়া প্রায় মুশকিল একটা ব্যাপার হয়ে গেছে। টাকা পয়সা লেনদেন থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছুই স্মার্টফোন দিয়ে করা লাগে। আর বার বার করে ফোনে এপ ইনষ্টল করা, লগইন করা, আবার কেটে ফেলা একটা বিরক্তিকর ব্যাপার। এই ক্ষেত্রে মোবাইলে এপ হাইড করার কিছু এপস আছে যেগুলো ব্যাবহার করা যেতে পারে।
আমি মাঝে মাঝে এসব ব্যাপারে চিন্তা করি আবার ভাবি যে বাড়ির বাইরে তো তেমন একটা যাওয়া হয় না, আমার মোবাইল চেক করবে কে? কিন্তু কখনো যদি আজান দিয়ে ধরে ফেলে, তখন তো রক্ষা হবে না মামু। ভালো একটা জিনিস মনে করিয়ে দিয়েছেন।
আমি একটা পুরাতন ফোন কেনার চিন্তা ভাবনা করতেছি। এই ৫-৭ হাজার টাকার মধ্যে। শুধুমাত্র ওয়ালেট একচেন্জ টুকটাক লেনদেন করা গেলেই এনাফ এমন। ক্রিপ্টোতে তো আর কোর আই সেভেন, ১৬ জিবি রাম, ১ টেরাবাইট এসএসডি লাগে না,

।
হ্যা বারবার ইনস্টল করা, আনইনস্টল করা, ব্যাকআপ করা অনেকের কাছে প্যারা মনে হতে পারে। বাট আমার কাছে লাগেনা। আমি মাসে ১ বার হলেও ফাক্টরি রিসেট মারি। আমাকে আবার একটু ফোন বিষয়ে নার্ড বলতে পারেন। কাস্টম রম ইউজার আমি। নতুন নতুন রম টেস্ট করি, ফ্লাস করি, সো টেস্টিং পারপোসে সব ডিলিট করতেই হয় বাধ্যতামূলক। মোবাইলের এমন কিছু নাই যা আমি জানিনা, চাইলেই হাইড করতে পারবো। কেউ টেরই পাবেনা। বাট দরকারই বা কি রিস্ক নেয়ার। তাই করিনা।
শেষের কথাটা শুনে আমার অনেক হাসি পাইছে সিরিয়াসলি, "মামু"।