আমি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে জানি কয়েক বছর ধরে কিন্তু এই কয়েক বছর ধরে একটা জিনিস লক্ষ্য করতেছি ক্রিপ্টো মার্কেটে অনেক নিউজ আসতেছে যা মার্কেটে প্রাইসের দাম ওঠানামা করে এটা একটা কমন ব্যাপার l কিন্তু আরেকটা জিনিস শুনে আসছি বা অনেক বড় বড় ক্রিপ্টো Influencer বলে যে ক্রিপ্টো অনেক সিকিউর
ইনফ্লুয়েন্সার রা সব সময় সত্য বলে তা নয়। তবে এই ব্যাপার টা সত্য যে ক্রিপ্টো কারেন্সি অনেক বেশি সিকিউরড!
তবে সব ক্রিপ্টোর বেলায় এরকম টা না ও হতে পারে। কোনো ক্রিপ্টো কারেন্সির কোনো দূর্বলতা আছে কি না, সে সম্পর্কে আমার তেমন ধারনা নেই। তবে হ্যাকিং বা এসট লসের মতো ঘঠনা ঘটে থাকে মূলত ওয়ালেট অব্যাবস্থাপনার কারনে।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে একটা জিনিস লক্ষ্য করতেছি যে অনেক ক্রিপ্টো হোল্ডাররা তাদের Asset হারিয়ে ফেলতেছে বিভিন্ন কারণে
-- অনেকের ওয়ালেট হ্যাক হয়ে তাদের Asset হারাচ্ছে.
- অনেক এক্সচেঞ্জ স্ক্যাম করে ক্রিপ্টো হোল্ডারদের Asset নিয়ে যাচ্ছে আর অনেক ভুলভাল নিউজ দিচ্ছে যে এই সমস্যা ওই সমস্যা. তারা কখনো আর সেই Asset ফেরত দিচ্ছে না.
- অনেকে অতি লোভে পড়ে বিভিন্ন ইনভেস্টমেন্ট সাইডের খপ্পরে পড়ে তাদের Asset হারাচ্ছে.
১. ওয়ালেট হ্যাক হতে পারে বিভিন্ন কারনে। কোনো কারনে যদি ডিভাইস হ্যাক হয়ে থাকে, তাহলে ডিভাইসের ওয়ালেট নিরাপদ থাকবে কিভাবে? সিকিউরড ডিভাইসে ওয়ালেট ইনষ্টল করা থাকতে হবে।
২. আরো কারন হতে পারে সিড ফ্রেস এবং প্রাইভেট কি কম্প্রোমাইজ। আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলে সিড ফ্রেস এবং প্রাইভেট কি রাকা কখনোই নিরাপদ না। সেটা বেহাত হয়ে গেলেই হ্যাকিংয়ে পড়তে হবে।
৩. আরেকটা কারন হলো ওয়ালেট চয়েজ। মানুষ ক্রিপ্টো হোল্ড করার জন্য এক্সচেন্জ কেনো ব্যাবহার করবে? যেখানে নন কাষ্টডিয়াল ওয়ালেট আছে, সেখানে এক্সচেন্জ এ হোল্ড করার কোনো কারন আমি দেখি না। সিকিউরিটির জন্য নন কাষ্টডিয়াল ওয়ালেট ব্যাবহার করতে হবে। অথবা হার্ডওয়্যার ওয়ালেট।
৪. ফিশিং থেকে বেচে থাকাও জরুরী। কখনোই থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট সাথে ওয়ালেট এপ বা সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং ইনষ্টল করবেন না। অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে ব্যাবহার করবেন।
৫. পন্জি স্কিম বা পিরামিড স্কিম এর খপ্পরে পড়েছেন তো শেষ। আমরা অনেকে জেনে শুনেই এসব স্কিম এ ইনভেষ্ট করি। সবশেষে সর্বশান্ত হয়ে বসে থাকি।