আমি ৩ দিন আগে ১২০ টাকা কেজি তে ২ কেজি পেযাজ কিনেছিলাম। আজকে সম্ভবত ২২০+ হয়ে গেছে বাজারে। যেহেতু ৩ দিন আগে কিনলাম, তাই আর বাজারে যাওয়া হয় নাই। বাংলাদেশে আপনি ব্যাবসা করলে অনেক ব্যাবসাই আছে। আলুর সিজনে মুন্সিগন্জ গিয়ে ২ লাখ টাকার আলু কিনে কোল্ড ষ্টোরেজে রেখে দিবেন, তারপর কয়েক মাস পর সেল দিলে সব খরচ বাদে আরো ২ লাখ টাকা লাভ থাকবে। ব্যাবসা জানি। তবে সেগুলো আন-ইথিক্যাল। ডিম, পেয়াজ, আলু, এমন কি লবন নিয়েও বাংলাদেশের বাজার অস্থির হয়। এমনেই তো কতো পাপ করে টাকা কামাই করি। তবে আমার জন্য যদি দেশে সংকট বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরী হয়, সেটার জন্য নিজের কাছে নিজেই দ্বায়ী থাকবো। হয়তো এটা কেউ জানবে না। কিন্তু নিজেকেই নিজে ক্ষমা করা যাবে না। বাজারে নতুন পেয়াজ আসা শুরু করবে/করেছে। সেগুলো কিনুন। লাভ করলে দেশের কৃষক রা করুক।
দেশের কৃষকরা লাভ করলে কোনো কষ্ট ছিলনা ভাই। কিন্তু লাভ করে বড়বড় জায়েন্টরা, সিন্ডিকেটরা। যেই লাউয়ে কৃষকে পায় ১০-১৫ টাকা পিস সেই একই লাউ বাজারে হয়ে যায় ৭০-৮০ টাকা। টোটালি ডিসেপয়েন্টটেড। ক্ষুদ্র পরিসরে আমরা যারা আছি (কৃষকশ্রেণী) তাদের লাভের অংক নাই বল্লেই চলে।
এক্ষেত্রে আমরা যারা গ্রামেগন্জে থাকি তারা হয়তো একটু ভালো আছি কাঁচাবাজার নিয়ে। আমার বাসার সামনে জায়গা আছে সেখানে সব রকমের সবজি লাগানো আছে। তেল, ডাল বাদে যা সম্ভব সব। আগের বছর পিয়াজ, শালগম, আলু, টমেটো লাগাইছিলাম। এতো হওয়া হইছিল যে নিজেরা তো খাইতে পারি ই নি পরে না পেরে বাজারে বিক্রি করতে হইছিল। এভাবে যদি সবাই শাকসবজিও লাগাতাম তাহলেও বাজারের কড়া মূল্যের জিনিস থেকে শীতলাভাব পাইলাম।