বগুড়া তে আমার একজন খালার বিয়ে হয়েছে। খালার শশুর প্রতি বছর মুলা, কপি, বেগুন চাষ করে থাকেন। এই সিজনেও মূলার ভালো ফলন হয়েছে শোনলাম। যেই মূলা ঢাকায় মানুষ দামের জন্য কিনে খেতে পারে না, সেই একই মূলা বগুড়া আমার খালু লসে বিক্রি করে। নানীকে বলতে শোনলাম যে তোরে বলছিলাম মূলা ক্ষেতেই বিক্রি করে দে। তাইলে আর ক্ষেত থেকে তোলার পরিশ্রম টা হতো না। যতো টাকা শ্রমিক কে দিতে হয় শুধুমাত্র ক্ষেত থেকে মূলা তুলে ধোয়ার জন্য, সেই টাকাও মূলা বিক্রি করতে পারে নাই। পরে কিছু বিক্রি করে বাকি গুলো কেটে কেটে গরু কে দিচ্ছে। একই মূলা ঢাকায় ৪০ টাকা আটি। আর বগুড়ায় ২-৩ টাকা।
......
ভাই গ্রামের লোকেরা মুলা খেতে খেতে অভক্তি হয়ে পড়েছে, আর শহরের লোকেরা মুলা পায় না। গ্রামের লোকেরা তাদের বাড়ির পালানে সবজি চাষ করতে পারে কিন্তু শহরের লোকেরা করতে পারে না। যারা শহরে থাকে তাদের নুন থেকে চুন পর্যন্ত কিনে খেতে হয়। যার ফলে শহরে গ্রামগঞ্জ থেকে শহরে শাকসবজির দাম খুবই বেশি হয়ে থাকে। আমি যেখানে থাকি সেখানেও মুলা যখন প্রথম বাজারে আমদানি হল তখন মুলার দাম ছিল ২০ টাকা আটি, মাঝখানে কয়েক দিন আগে ২-৩ টাকা আটি হয়েছিলো। কিন্তু এখন বর্তমানে ৫ টাকা আটি হয়েছে, তবে সন্ধ্যা বেলায় হাটে গেলে ৬ আটি ২০ টাকায় পাওয়া যায়। ভাগ্য ভালো মুলা বেশিদিন আটকে রাখা যায় না, তা না হলে কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা মুলা কিনেও বান্দাল করে রাখতো বেশি দামে বিক্রি করার জন্য।
যাইহোক, মনে হচ্ছে পিয়াজের দাম অল্পদিনেই নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। আমাদের দেশের পিয়াজ বাজারে না আসলে খুব একটা দাম কমবে না। আর আমাগো যে বাংলাদেশ এই দেশে শুধু দাম বাড়তে জানে কিন্তু কমতে জানে না। দিন দিন সব কিছুর দাম বেড়েই চলেছে। এদিকে যারা দিন মুজুর তারাই কষ্ট করে জীবন যাপন করতেছেন। একজন দিনমুজুর আমাদের এখানে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারে এখন সে যদি এককেজি পিয়াজ ২৫০ টাকা দিয়ে কিনে খায় তাহলে আর জিনিসপত্র কি দিয়ে কিনবে?
ভাইয়েরা বিটকয়েনের ট্রানজেকশন ফি এর কি অবস্থা কবে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে?
ভারত তিন মাসের জন্য পেঁয়াজ আমদানি রপ্তানি বন্ধ করার সাথে সাথে প্রত্যেকটা ব্যবসায়ী পেয়াজ সংরক্ষণ করা শুরু করে দিয়েছে। এর ফলে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বহু গুণ বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম প্রায় 300 টাকার কাছাকাছি হয়েছে। যদি কোন ভাবে মুলা কিনে সংরক্ষণ করা যায় তাহলে মানুষ মুলা কিনে সংরক্ষণ করত এবং মুলার দামটাও বাড়িয়ে দিত। আপনাদের বগুড়াতে হয়তো দুই থেকে তিন টাকা আটি মুলা পাওয়া যায় আমাদের এখানে চার টাকা কেজি মোলা বিক্রি করছে। অন্যান্য সবজির তুলনায় মুলার দামটা অনেকটাই কম হয়তোবা কৃষকের যে টাকা পরিমাণ মুলা চাষ করতে খরচ হয়েছে তার হয়তো এই মুলা বিক্রি করে তার খরচের টাকাটা উঠবে না।