দেশের কৃষকরা লাভ করলে কোনো কষ্ট ছিলনা ভাই। কিন্তু লাভ করে বড়বড় জায়েন্টরা, সিন্ডিকেটরা। যেই লাউয়ে কৃষকে পায় ১০-১৫ টাকা পিস সেই একই লাউ বাজারে হয়ে যায় ৭০-৮০ টাকা। টোটালি ডিসেপয়েন্টটেড। ক্ষুদ্র পরিসরে আমরা যারা আছি (কৃষকশ্রেণী) তাদের লাভের অংক নাই বল্লেই চলে।
এক্ষেত্রে আমরা যারা গ্রামেগন্জে থাকি তারা হয়তো একটু ভালো আছি কাঁচাবাজার নিয়ে। আমার বাসার সামনে জায়গা আছে সেখানে সব রকমের সবজি লাগানো আছে। তেল, ডাল বাদে যা সম্ভব সব। আগের বছর পিয়াজ, শালগম, আলু, টমেটো লাগাইছিলাম। এতো হওয়া হইছিল যে নিজেরা তো খাইতে পারি ই নি পরে না পেরে বাজারে বিক্রি করতে হইছিল। এভাবে যদি সবাই শাকসবজিও লাগাতাম তাহলেও বাজারের কড়া মূল্যের জিনিস থেকে শীতলাভাব পাইলাম।
বগুড়া তে আমার একজন খালার বিয়ে হয়েছে। খালার শশুর প্রতি বছর মুলা, কপি, বেগুন চাষ করে থাকেন। এই সিজনেও মূলার ভালো ফলন হয়েছে শোনলাম। যেই মূলা ঢাকায় মানুষ দামের জন্য কিনে খেতে পারে না, সেই একই মূলা বগুড়া আমার খালু লসে বিক্রি করে। নানীকে বলতে শোনলাম যে তোরে বলছিলাম মূলা ক্ষেতেই বিক্রি করে দে। তাইলে আর ক্ষেত থেকে তোলার পরিশ্রম টা হতো না। যতো টাকা শ্রমিক কে দিতে হয় শুধুমাত্র ক্ষেত থেকে মূলা তুলে ধোয়ার জন্য, সেই টাকাও মূলা বিক্রি করতে পারে নাই। পরে কিছু বিক্রি করে বাকি গুলো কেটে কেটে গরু কে দিচ্ছে। একই মূলা ঢাকায় ৪০ টাকা আটি। আর বগুড়ায় ২-৩ টাকা।
ধরেন আমরা যদি এক সপ্তাহ পেঁয়াজ এক কেজির জায়গায় ২০০ গ্রাম খাই তাহলে ওদের পশ্চাৎ মারা যাবে,
দুষ্টু কথা বলেন কেনো ভাই?

যদিও কথাটা একদম সত্যি।