ভারত তিন মাসের জন্য পেঁয়াজ আমদানি রপ্তানি বন্ধ করার সাথে সাথে প্রত্যেকটা ব্যবসায়ী পেয়াজ সংরক্ষণ করা শুরু করে দিয়েছে। এর ফলে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বহু গুণ বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম প্রায় 300 টাকার কাছাকাছি হয়েছে। যদি কোন ভাবে মুলা কিনে সংরক্ষণ করা যায় তাহলে মানুষ মুলা কিনে সংরক্ষণ করত এবং মুলার দামটাও বাড়িয়ে দিত। আপনাদের বগুড়াতে হয়তো দুই থেকে তিন টাকা আটি মুলা পাওয়া যায় আমাদের এখানে চার টাকা কেজি মোলা বিক্রি করছে। অন্যান্য সবজির তুলনায় মুলার দামটা অনেকটাই কম হয়তোবা কৃষকের যে টাকা পরিমাণ মুলা চাষ করতে খরচ হয়েছে তার হয়তো এই মুলা বিক্রি করে তার খরচের টাকাটা উঠবে না।
আমি তো আগের পোষ্ট এ অলরেডি বললাম যে অন্যান্য খরচ তো বাদ, জমি থেকে মুলা তুলে, সেধা ধুয়ে প্রসেস করে বাজারে নেয়ার যে খরচ, বিক্রি করে সেই খরচ ওঠাতেও কৃষকের বুকে মাটি ছুয়ে যাচ্ছে। অনেক কৃষক লস করে হলেও জমি খালি করছে কারন তারা সেখানে অন্য শীতের সবজি চাষ করবে। এবার পেয়াজের কথায় আসি, আমার এলাকায় দেখলাম পেয়াজের দামের খুব বেশি তফাৎ হয়নি। আজকে বাজারে গিয়ে পেয়াজের দাম জোনতে চাইলাম, যেটা নতুন বাজারে এসেছে, সেটা ১৩০ টাকা কেজি। আর আগের পেয়াজ ১৬০ টাকা কেজি। অন্যান্য এলাকার তুলনায় আমাদের লোকাল বাজারে পেয়াজের দাম কম। সেটা একটা কারন হতে পারে বাজারের মসজিদ। এখানকার ইমাম সাহেব প্রতিদিন ব্যাবসায়ীদের নানান হাদিস শোনান এবং মজুদ করে বেশি দামে বিক্রি না করার পরামর্শ দেন।