যাইহোক এখনো কিছু কিছু ওলামা কেরাম ক্রিপ্টোকারেন্সি কে জুয়ার সাথে তুলনা করে এখনো হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে আমি যতটা জানি হাদিসে কোন কিছু লেখা হয় নাই। তাই ইসলামী বড় বড় ওলামাকেরাম যে ফতুয়া দিবেন, ইসলামী অনেক বড় বড় সংগঠন রয়েছেন তারা ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী যে ব্যাখ্যা দিবেন তাই আমাদের মেনে নিতে হবে।
সমস্যা আসলে অন্য যায়গায়। আজকের দিনের বেশিরভাগ ওলামাগন ডিজিটাল কোনো কারেন্সি সম্পর্কে খোজ খবর রাখেন না। বাইরের কিছু দেশের ওলামারাই এখনো খোজ খবর রাখেন না এসবের ব্যাপারে। একটা ব্যাপারে ফতোয়া দিতে হলে ওনাদেরকে জানতে হবে যে উনি আসলে কিসের ব্যাপারে ফতোয়া দিচ্ছেন। ওনাকে জানতে হবে যে বিটকয়েন বা অন্যান্য ক্রিপ্টো কারেন্সি কিভাবে কাজ করে। কাজ করার মেকানিজম টা কি। ওনারা যেটুকু জানেন, সেটা হলো, বিটকয়েনের দাম অনেক বাড়ে আবার অনেক কমে। তার মানে এটা জুয়া। এর কারনেই এটাকে জুয়ার সাথে তুলনা করে থাকেন।
আমি বিটকয়েন কে স্বর্ণ এর চাইতে একটু ও তফাৎ আছে বলে মনে করি না। দুটারই দাম বাড়ার এমন কমার পেছনে ডিপেন্ড করে এর চাহিদা এবং সাপ্লাই। দুনিয়ার সকল প্রোডাক্ট এর দাম ডিপেন্ড করে এর উৎপাদন কেমন এবং এর ডিমান্ড কেমন। যখন অনেক বেশি ডিমান্ড থাকবে এবং সেই তুলনায় সাপ্লাই কম থাকবে, তখন সেটার দাম বাড়বে। আমার মতে স্বর্ণ কিনে রাখা আর বিটকয়েন কিনে রাখা এখই ব্যাপার। বিটকয়েন এতো বেশি ওঠা নামা করার কারন হলো এটা ডিজিটাল মুদ্রা। যেকোনো সময় তা সেল করা যায় আবার কেনা যায়। কতো বিটকয়েন সেল হলো বা সাপ্লাই কতো, তা সরাসরি সবাই দেখতে পারে। অপর দিকে স্বর্ণ কেউ চাইলেও প্রতি মিনিটে বিক্রি করতে পারে না। চাইলেই কিনতে পারে না। সাপ্লাই কম না বেশি তা চেক করতে পারে না। যদি পারতো,তাহলে স্বর্ণের দাম ও এরকম আপ দাউন করতো প্রতি সেকেন্ডে!