আমি সব সময় মনে করতাম এসব ফিশিং এ অন্তত আমি পড়বো না। কারন এসব ব্যাপারে আমার যথেষ্ঠ আইডিয়া আছে। কিন্তু গতকাল রাতে ১ টার দিকে আমি এরকম একটা ট্র্যাপে পড়ে যাবো, ভাবতেই পারিনি। যেহেতু কিছুদিন যাবৎ এয়ারড্রপ নিয়ে কাজ করছি, রাতে ১ টার দিকে একটা ইমেইল পেলাম, ল্যাপটপ যেহেতু বন্ধ, তাই মোবাইলেই ইমেইল চেক করে দেখি গ্যালাক্সির কোনো একটা ইভেন্ট থেকে ইমেইল আসছে পয়েনট ক্লেইম করার জন্য। যেই ভাবা সেই কাজ, ইমেইলের সেন্ডার চেক না করেই ওয়েবসাইটে ঢুকে মেটামাস্ক কানেক্ট করে ফেললাম। হুট করেই দেখি ধুমাধুম ওয়ালেট থেকে ইথেরিয়াম আর কিছু আরবিট্রাম হ্যাকারের এড্রেস এ চলে গেলো। সব কিছু এতো দ্রুত হয়েছে, যে কিছুই বুঝতে পারি নাই। পরে এড্রেস চেক করে দেখি আমি ফেইক ওয়েবসাইটে আছি। তারাতারি করে সাইট থেকে ওয়ালেট ডিসকানেক্ট করলাম। এয়ারড্রপ থেকে ইনকাম শুরু হওয়াের আগেই ২০০ ডলার নাই হয়ে গেলো। গানের থেকে বাজনা বেশি হয়ে গেলো না?
আপনি আমাদের ফোরামের অভিজ্ঞ মেম্বারদের মধ্যে একজন অথচ আপনি যদি এরকম ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন তাহলে আমাদের তো কোন কথাই নেই। ভাগ্যিস শুধু চারটি এয়ারডোব ক্যাম্পেইনে জয়েন হয়েছিলাম কিন্তু সেগুলো ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট করা ও টেলিগ্রামে মাইনিং এর মত সেখানে ওয়ালেট কানেক্ট করার এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশ দেয়নি। তাছাড়া যেহেতু আপনারা এরকম ওয়ালেট হ্যাকের ঘটনা এখানে শেয়ার করেছেন সেহেতু আমি আশাবাদী আমি আর কখনো কোন ইয়ারড্রোব ক্যাম্পেইনে ওয়ালেট কানেক্ট করব না।। যেহেতু আমার ওয়েবসাইট ফিশিং বা সত্য কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করার কোন অভিজ্ঞতা নেই তাই আমার পক্ষে এয়ারড্রোব ক্যাম্পেইন না করাই ভালো। কখন কোন সময় মোবাইল কম্প্রোমাইজড হয়ে যায় সেটা তো বলতে পারব না। কারণ এখন পর্যন্ত আমি এরকম বাজে অবস্থার সম্মুখীন হয়নি। যাহোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এই খারাপ অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারলাম এবং নিজের মধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করলাম।