ভাই আমিও এই কোটা রাখার বিপক্ষে। আমি চাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা বন্ধ করে দেওয়া হোক। আমাদের এই বাংলাদেশে কতজন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা আছে? আমার এলাকায় আমার জানা মতে বয়স্ক মুরুব্বীদের কাছ থেকে শোনা ২-৪ জন যুদ্ধ করেছিল। আর বাদ বাকি সবাই বুয়া, শুধু নাম দিয়েছিলো তারা মুক্তিযোদ্ধা। এমন নয় যে তারা মুক্তিযোদ্ধা তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাদেরকে কিছু দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক মাসে মাসে তাদেরকে আমি শুনেছিলাম ২২ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। আর কি চাওয়া তাদের?
তবে এটা মেনে নেওয়া যেতো যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের কে চাকরি দিতো, কিন্তু তাদের সন্তান নাতি নাতনিদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি দেওয়া হয়। আসলে পুরা বাংলাদেশটাই দুই নাম্বারে ভরপুর হয়ে গিয়েছে। যেখানেই যাই সেখানেই দুই নাম্বার।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে যাচ্ছি না কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছিল তাদের ভাতা দিয়ে, বেতন দিয়ে, উপঢৌকন দিয়ে, বিল্ডিং দিয়ে, কুরবানী ঈদের সময় কুরবানী ঈদের গরু টাকা দিয়ে এভাবে শত শত পদ্ধতিতে সরকার এদেরকে সাহায্য করে আসছে ঠিক আছে। তাদের চাকরি ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সাহায্য করে আসছে তাও ঠিক আছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার পর মুক্তিযোদ্ধাদের চৌদ্দ পুরুষদের এভাবে সুবিধা দেওয়াটা কোনভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। এখন আপনি হাতে গুনে দেখতে পারেন আপনার বা আমার এলাকায় কতজন মুক্তিযোদ্ধা আছে, সর্বকনিষ্ঠ আমার এলাকায় যে মুক্তিযোদ্ধা ছিল এক বছর আগে সেও মারা গেছে। কিন্তু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ার পরিবর্তে বেড়ে যাচ্ছে। এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধে দেওয়ার কোন মানে হয় কি?
যারা রিয়েল মুক্তিযোদ্ধা তাদের পরিবাররা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ব্যবহার করে যে সুযোগসুবিধা নিচ্ছে তার থেকে বেশি সুযোগ নিচ্ছে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ভূয়া ছাওয়াল পাওয়াল নাতি নাত্নিরা। রিসেন্টলি এক নিউজে দেখলাম ভাস্তি ভাইস্তাকে ছেলে মেয়ে পরিচয়ে সরকারি চাকরি দিয়েছে এক মুক্তিযোদ্ধা। আমার কথা হলো এরা কেমন মুক্তিযোদ্ধা যে দেশের আইনের অপব্যবহার করে। এরা তো ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা। এই কোটা সংস্করণ আন্দলোনের পুরোপুরি যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি। যেখানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১% এর কিছু বেশি মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে তাদের জন্য ৩০% কোটা কেমনে বরাদ্দ রাখা হয় অন্যদিকে ১০% নারি কোটা, ১০% রয়েছে জেলা কোটা এবং ৫% উপজাতি /প্রতিবন্ধী কোটা। বাকি ৪৫ হচ্ছে আমাদের মতো সাধারণ ছাত্রদের জন্য। বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা যায় কিন্তু আর কিছু বলবো না। শুধু বলবো এই আন্দোলন সঠিক এবং যথেষ্ট যৌক্তিকতা আছে।