একটা হাস্যকর কথা বলে যাই এখন যে টাকা ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনের জন্য রেখে দিয়েছিলাম সেই টাকা এখন সেই ব্যাংকে গিয়ে আমি উঠাতে পারছি না আমি এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিউজ পোর্টালে দেখেছি এই ধরনের কথা যে ব্যাংক থেকে টাকা উঠানো যাচ্ছে না কিন্তু বর্তমানে আমি নিজে ভুক্তভোগী হলাম ব্যাংক সপ্তাহে দুই দিন টাকা দিচ্ছে তাও আবার আপনি ওই দুইদিন 10 হাজার এর বেশি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না, আমিও অনেক গ্রাহকের দেখেছি অনেকটা কান্না কান্না মুখ একজনের আত্মীয়র অপারেশনের জন্য ২ লাখ টাকা লাগবে সেখানে তারা দশ হাজার টাকার বেশি দিতে পারবে না এটা বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
ব্যাংকের নাম ন্যাশনাল ব্যাংক তারা বলেছে যে সামনের মাসে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে এদের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ট্রান্সফার ও এখন বর্তমানে বন্ধ আল্লাহ মাবুদ জানে আমার টাকাগুলো ফেরত পাব কিনা।
এটা কোনো হাস্যকর কথা না ভাই। দেশের প্রায় বেশ কিছু ব্যাংক একদম দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পথে। চিন্তা করে দেখেন যাদের ব্যালেন্স কোটি টাকা, এরকম ১০ হাজার টাকা করে তারা কত বছরে সেই টাকা তুলতে পারবে? আমি যতটুকু শুনেছি, বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক টাকা ছাপিয়েছে এসব ব্যাংক গুলো বাচানোর জন্য। টাকা গুলো ব্যাংকে দিলে ব্যাংক হয়তো বেচে যাবে, কিন্তু আপনি যদি ১ লাখ টাকা রেখে থাকেন, সেটার ভ্যালু হয়ে যাবে ৬০ হাজার টাকার সম পরিমান।
ব্যাংকিং সেক্টর থেকে আস্থা একদম উঠে গেছে আমার। ৪০-৫০ হাজার টাকার বেশি রাখার মতো সাহস আমি করতে পারি না। সরকার পতনের পর আমার চাচাতো ভাই তার বিদেশ থেকে স্যালারির টাকা ইসলামী ব্যাংক এ পাঠিয়েছে, সেই টাকা তোলার জন্য ১ মাস এটিএম এ ঘুরে ঘুরে তুলতে পারিনি। সর্বশেষ বিকাশে এডমানি করে করে ২৫ হাজার করে ক্যাশ আউট করা লাগছে। খুবই খারাপ সময় পার করছি আমরা।