মাঝে মাঝে কাষ্টমারের চাপ থাকে, তখন আবার বিরক্ত হয়ে যাই যে এসব ব্যাবসা আমার জন্য না। আবার মনে হয় অন্তত ঘরের বউ এর থেকে দূরে থাকি, এটাই শান্তনা। পুরুষ মানুষ বাড়িতে থাকা যে কত বড় অশান্তি, সেটা আশা করি যারা বাসায় থাকেন, তারা জানেন। কোনো একটা দিন মনে করি যে আজকের দিনটা প্রোডাক্টিভ যাবে, সেদিন সংসারের ১০১ টা কাজ সামনে এসে হাজির হবে। বাচ্চাকাচ্চা থাকলে তো আর কোনো কথাই নাই। কাজ বন্ধ করে পিসিতে কার্টুন দিয়ে বসে থাকা লাগবে। যাই হোক, গ্রাম অঞ্চলে কি রেখে কি করবো সেটাই বুঝতে পারছি না। কোনো কিছুতেই প্রফিটের দেখা পাচ্ছি না।
ও ভাই বুকে আসেন।
আমিও এটা চিন্তা করেছি পুরুষ মানুষ বাসায় বসে কাজ করলে তাকে নিজের কাজের পাশাপাশি বাসার যত কাজ আছে ১০ মিনিট পর পর এটা করতে হবে সেটা করতে হবে, আর যা বললেন বাচ্চা থাকলে তো কোন কথাই নেই তখন কাজ কম বউয়ের ঝাড়ি বেশি শোনা লাগে। আর নানান কলহতো লেগেই থাকে।
আমি এই জন্য বাসায় আলাদা রুম নিয়ে নিয়েছিলাম জাস্ট কাজের জন্য তারপরেও আপনার বুদ্ধিটা আমার কাছে ভালো লাগলো। আর তাছাড়া আমি যেটা মনে করি আমরা ভার্চুয়াল জগত থেকে যত টাকায় কামাই করি না কেন সেটা যদি কোন বিজনেস এর ক্ষেত্রে আই মিন ফিজিক্যাল বিজনেস বা ভার্চুয়াল বিজনেস এর ক্ষেত্রে না ইনভেস্টমেন্ট করি তাহলে আমাদের হাতে যত টাকায় থাকুক দিনশেষে দেখা যাবে যে সেভিংস জিরো।
ভার্চুয়াল জগতেও যে ভালো রোজগার করা যায় সেটা আদিকালের মুরব্বিগণ বোঝে না। এজন্য অনেকের কাছে অনেক কিছু শুনতে হইছে শুনতে হইতেছে। তারা মনে করে সারাদিন রুমে বসে থাকে, ঘর দিয়ে বেরই হয়না, এখানে কি অবৈধ কোনো কারবার চলে কিনা। শহরে এমন মাইনসেটের লোক কম, সেখানে কে মরলো কে কি করলো কারোর যায়ে আসেনা, তবে আপনারা যদি আমার মতো গ্রাম টাইপ এলাকায় থাকেন তাহলে এমন পরিস্থিতির সামনে পড়বেন। এজন্য লোক দেখানো হলেও একটা ফিজিক্যাল ব্যবসা থাকা জরুরি, যেনো দেখে, না এখান থেকে তাদের টাকা আসে। নয়তো আশেপাশের লোকজনের খারাপ নজর পড়ে। আমার কেউসে আমাদের মুরগির ফার্ম।
বাইদাওয়ে আপনাদের দুইজনের কথা শুনে মনে হলো লাইফের ২য় ভুল মেইবি বিবাহ করা! ১ম ভুল জানতে চাইলে নাড়া দিয়েন!
