আপনার ধারণার সাথে আমি একমত কেননা এইরকম জঘন্য ধর্ষণের একমাত্র সাক্ষী ইনস্ট্যান্ট মৃত্যু। গণধোলাই অথবা প্রকাশ্যে গর্দান দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করায় এইরকম জঘন্য ধর্ষনের শাস্তি হতে পারে। ৮ বছরের আছিয়া যেভাবে নিজের লোকদের দ্বারা ধর্ষিত হলো সেটার একমাত্র প্রকাশ্যে শাস্তি নিশ্চিত করলে এবং আইন প্রণয়ন করলে অবশ্যই আমাদের দেশেও ধর্ষণ কমিয়ে আনা সম্ভব।
গতকাল থেকে ফেইসবুকে একটা ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। এক মুদি দোকানের সামনে একজন টুপি পান্জাবি পড়া লোক, একটা বাচ্চা ছেলেকে এবিউজ করছে। এখন ওই বাচ্চা ছেলে তো আর পর্দা করবে না। এরকম মানুষ রুপী জানোয়ার গুলো দেশে আছে বলেই দেশে এরকম ধর্ষন হচ্ছে। লেবাস দেখে কখনো একটা মানুষকে জাজ করা ঠিক হবে না। মানুষ নিজের বাচ্চাদেরকে কিভাবে পালবে? এরকম শিয়ালের মুখ থেকে নিজেদের সন্তানকে কিভাবে রক্ষা করবে?
বাচ্চাদের সাথে সব সময় বের হওয়া সম্ভব হয় না। রাস্তাঘাটে যদি ছেলে বাচ্চাদের অব্দি বলাৎকারের মতো এবিউজ হতে হয়, তাহলে আপনার মেয়ে বাচ্চা কতোটা রিস্কে আছে একবার চিন্তা করে দেখেন। বাংলাদেশের আইনের সঠিক ব্যাবহার করা হয় না। ধর্ষকের কঠিন শাস্তি দিলে ধর্ষনের সংখ্যা কিছুটা কমানো যাবে বলে মনে হয়।
দেখুন যারা টুপি দাড়ি পড়ে এরকম খারাপ কাজেই জড়িত হতে পারে তাদেরকে আসলে ভাষা নষ্ট করতে চাই না। দেখুন এই মুহূর্তে যারা টুপি-দাড়ি করে এরকম কাজ করবে তাদের অবশ্যই কিছু রাজনৈতিক ফায়দা থাকবে। টুপি দাড়ি পড়ে বলাৎকার করলে অবশ্যই বিশ্ব অঙ্গনে কিছু দৃষ্টি পরিবর্তন হয়ে যায়। একজন যদি টুপি দাড়ি পড়ে বলাৎকার অথবা ধর্ষণের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে তাহলে কিছু রাজনীতি কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এরকম টুপি দাড়ি পড়ে আরো বেশি বেশি এরকম কাজে জড়িত হওয়ার ঘটনা ঘটবে। তখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ জানতে পারবেন বাংলাদেশে মৌলবাদীরা এরকম খারাপ কাজ করছে। আমার সাজেশন অনুযায়ী যারা টুপি দাড়ি পড়ে এরকম কাজ করবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বিশ্লেষণ করতে হবে এবং জনসম্মুখে বলাৎকার তথা ধর্ষণের বিচার করতে হবে। বিচার করার আগে অবশ্যই রাজনীতির পরিচয় সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে।