আমরা ঘটা করেই বলতে পারবো না জামায়াতের লোক। আপনি জামায়াতের লোকদের দ্বারা কখনো এই রকম হীন কাজ করতে দেখবেন না। জামায়াতের লোক হওয়া এই রকম লোকদের দ্বারা সম্ভব নয়। তাছাড়া এখন আওয়ামীলীগের সকল মানুষই দাঁড়ি টুপি পড়ে জামায়াত শিবিরের, বিএনপি হয়ে গেছে। তাই কোনটি আসল জামায়াত আর কোনটা নকল জামায়াত আইডেন্টিফাই করা মুস্কিল।
আসলে এটা যুক্তিসঙ্গত কথা বলেছেন, যারা পুর্বে আওয়ামীলীগের লোক ছিলেন তারা বর্তমানে বিএনপি হয়ে গেছে, হতে পারে তারা জামাতেও যোগ দিয়েছেন, না দিলেও জামাতের লোক সেজে বিভিন্ন অন্যায় অত্যাচার শুরু করেছেন। আমাদের এলাকায় দেখা যায় বিএনপির কোন জনসভা হলে আওয়ামীলীগের নেতারাই বেশিরভাগ রয়েছে। এখন যদি আমরা দাড়ি টুপি ওয়ালা লোকদের দেখে জামাতের লোক মনে করি তাহলে এটা ভুল হবে। তবে যেকোন একদল চক্রান্ত করে এমন কাজ করতেছেন, কিন্তু সত্যটা জানা যাচ্ছে না।
এই বিষয়ে কি কেউ খেয়াল করেছেন? বর্তমানে বিএনপি ক্ষমতায় নেই তাই বিএনপির লোকেরা যে পাওয়ার দেখায়, যদি ক্ষমতায় আসে জানি না কি করবে। আসলে বিএনপি আওয়ামীলীগ যাই বলি কেউ ভালো না, যে বনে যায় সেই বাঘ হয়ে যায়। দেশ পরিচালনা করার জন্য ভালো একজন নেতা ধরকার, যা আওয়ামীলীগ বিএনপির মধ্যে দেখি না। বাংলাদেশের একটা আইন পাস করা উচিত, যে একজন ২ বার বা ১০ বছরের বেশি সময় সরকার থাকতে পারবে না। একজন লোকে যদি ২০ -২৫ বছর ক্ষমতায় থাকে তাহলে কেমনে কি হবে।
বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? আপনি কাকে আইন করতে বলবেন। যারা আইন করবে তারাই মূলত আইনের অপব্যবহার করবে। যাহোক এটি বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল মিলে এটাই সিদ্ধান্ত করতে হবে এবং সংবিধান সংশোধন করে বাংলাদেশে তিনবারের বেশি বা দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেনা। এই আইনটা করলে হয়তো কোন দল ফ্যাসিস্ট হতে পারবেনা। তাছাড়া দল মত নির্বিশেষে ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং দেশে আইনের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সিন্ডিকেট ব্যবসা বন্ধ করতে হবে এবং দ্রব্যমূল্যের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে হবে। এই সকল বিষয় সুনিশ্চিত করতে পারলে আমাদের বাংলাদেশ হয়তো ভবিষ্যতে একটি সোনার দেশে পরিণত হবে।