আজ বাংলাদেশ বনাম ভারত ফুটবল ম্যাচ দেখে আমি সত্যিই খুশি। আমার মনে হয় আজ হাজার হাজার বাংলাদেশি ফুটবল ভক্তের হৃদয়ে আনন্দ দেখেছি। যদিও বাংলাদেশ গোল করার বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে, তবুও আজ তাদের খেলা আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে।
কারণ, এখন পর্যন্ত আমরা যতগুলো ম্যাচ দেখেছি, তাতে আমার মনে হয়েছে এটা দুটি দেশের খেলা নয়, বরং দুটি অঞ্চলের খেলা। তাদের আগের খেলাগুলো দেখে মনে হয়েছে দলের কেউ কৃষক, কেউ রাখাল, কেউ চাকরিজীবি। আবার যারা একটু কম দৌড়াতে পারত তারা গোলপোস্টের দায়িত্ব ছিল। আবার, ডিফেন্ডারদের দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছে তারা ফুটবল নয়, মানুষকে কিক করতে এসেছে।
অর্থাৎ, আমাদের গ্রামাঞ্চলে যে ধরণের খেলা হয় আমিও তাদের খেলায় তেমনি দেখতাম।

কিন্তু আজকের পুরো খেলাটি দেখে আমার মনে হলো যেন আমি বিশ্বকাপের খেলা দেখছি। বাংলাদেশর খেলায় আজকে ছন্দ ছিল। ছন্দের পতন কম দেখেছি। যদিও আমাদের দলের এখনও অনেক উন্নতি করার আছে তবে, আজকের খেলাটি আগের যেকোনো খেলার তুলনায় সত্যিই অনেক ভালো ছিল।
আমি খেলার দোষ ধরতে চাই না। আমি কেবল আশাবাদী যে বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে ফিফা বিশ্বকাপে খেলবে। আমরা আমাদের দেশ সম্পর্কে গর্বের সাথে কথা বলতে পারবো।
বাংলাদেশ অনেকটাই ভালো খেলবে এরকম আশাবাদী আমরা হামজা চৌধুরী আসার পর থেকেই। কিন্তু হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের অভিষিক্ত হওয়ার ম্যাচে যদি একটা গোল করতে পারতো তাহলে কতই না ভালো হতো। সুনীল ছেত্রী মাঠ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তার টেনশন ভরা মুখ দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি। অন্যান্য বছর বাংলাদেশকে দু'চারটা করে গোল দিয়ে অনেকটা মহানায়ক সেজে মাঠ থেকে বের হয়ে যেত কিন্তু কালকের ম্যাচে সাধ্যমত চেষ্টা করেও গোল করতে পারেনি। তবে তবে বাংলাদেশ কালকের ম্যাচে একটা গোল করত তাহলে আমরা অনেকটাই প্রতিশোধ মূলক মনোভাব নিয়ে খেলা শেষ করতে পারতাম। যাহোক গোলশূন্য হওয়াতে খারাপ কিছু হয়নি বরং সমান সমান পয়েন্ট নিয়ে মূলত একটি পয়েন্ট নিয়ে শক্তিশালী ভারতের সাথে আমাদের খেলা ড্র হল। আশা করি পরবর্তী ম্যাচগুলোতে অবশ্যই বাংলাদেশ ভালো খেলে জয়লাভ করবে।