হঠাত পুকুরের মাঝে দেখি এক ২০-২২ বছরের ছেলে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিল্লাইতেছে। আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি। দুই মিনিটের মধ্যেই দেখি ডুবে গেলো। আমার বন্ধু সাথে সাথে ৯৯৯ এ কল করে আর আমি সামনের পুলিশ বক্সে (৩০ সেকেন্ড) দৌড় দেই দিয়ে সার্জেন্ট কে জানাই। আমরা কেউ সাতার জানতাম না আর আশেপাশে লোক মনে করতেছিলো যে মজা করে, কারন যে সাতার পারে না সে পুকুরের মাঝে গেলো কেমনে!
কাটায় কাটায় ২০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের লোক আসে আর ২-৩ ঘন্টা ধরে উদ্ধার চালায়, বাট ততক্ষনে সে মারা যায়। সবথেকে খারাপ বিষয় হলো আমরা একেবারে কেন্দ্রীয় লোকশনে ছিলাম, আর ফায়ার সার্ভিসের হেডকোয়াটার ছিলো মাত্র ১ মিনিট দূরত্বে, আর দৌড়ে গেলে লাগে ৫ মিনিট। বুঝে নেন কত হাজার কিলো দূরত্ব।
ভাই যেহেতু অলরেডি পানিতে ডুবে যাচ্ছিলো, এখানে আপনি ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে কখনই তাকে উদ্ধার করতে পারবেন না। মানুষ কতক্ষন নিঃশ্বাস না নিয়ে থাকতে পারে? যতক্ষনে ফায়ার সার্ভিসে লোকেরা আসবে ততক্ষনে পানিতে ডুবে মারা যাবে। আপনাদের ফায়ার সার্ভিসের লোকেদের জানানোর চেয়ে তাকে কয়েকজনে মিলে সাঁতরিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করা উচিত ছিলো, কিন্তু যা
তকে দিয়ে ভূত তাড়াবো তাকেই ভূতে পেয়েছিল (মানে মিয়া আপনে সাতার জানেন না)। যারা সাতার জানেন না, তাদের ক্ষেত্রে আলাদা কিন্তু যারা সাতার জানে তাদের উচিত ছিলো তাকে সাহায্য করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় শহর অঞ্চলে মানুষ মানুষের বিপদে খুবই কমই এগিয়ে আসে, গ্রামাঞ্চলের মতো এতটা সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে যাবে না। আর ওই লোকটার কথাই বলি, বেটা সাতার জানেন না, তাইলে কেন পাকনামি করতে পুকুরে নেমেছিলো।
আর মিয়া কি বলেন? বুইড়া হইয়া গেলেন, বিয়ে করলে চার পাচ টা বাচ্চা হবে নি, আর আপনে বলেন সাতার জানেন না
, ছি ছি ছিরে ননি ছি 