সান হিটে স্ক্রিন নষ্ট হয়ে যাবে এজন্য আমাদের দেশের কিছু বোনেরা আছে ইসলামী আন্দোলনগুলোতে যোগ দেয় না অথচ আজকে পহেলা বৈশাখে তারা সবাই নতুন সাজে প্রথম সারিতে বের হয়েছে। যাহোক পর্দা করে যে কোন উৎসব এ যাওয়া যেতে পারে সমস্যা নেই । তবে পহেলা বৈশাখ আমাদের ইসলামিক সংস্কৃতির সাথে কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এটা আবার ভেবে দেখতে হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে একমাত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এই দুটো দিন ছাড়া অন্য কোন দিন উৎসব করার অনুমতি আছে কিনা এটাও ভেবে দেখতে হবে। আমাদের হয়তো ইসলামের প্রাথমিক রূপে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করার রীতি ছিল কিনা এবং পরবর্তীতে ইসলাম এই সমস্ত উৎসবের অনুমতি দিয়েছে কিনা এটাও ভেবে দেখতে হবে। একটি প্রজন্ম এরকমভাবে উৎসব পালন করবে এবং এটা প্রজন্মের পর প্রজন্ম মেনে চলবে এটা হবে না। প্রজন্মদের বোঝাতে হবে কোনটি আমাদের ইসলামের জন্য জায়েজ এবং কোনটি ইসলামের জন্য জায়েজ নয়। আজকের দিনকে ঘিরে যে অশ্লীলতা ঘটবে এটা ইসলাম কখনো সমর্থন করেনি করবেও না। অবাধ মেলামেশা, নিষিদ্ধ পানীয় পান করা এগুলো ইসলামের বিপক্ষে।

আমি যে ছবিটা শেয়ার করেছি এই ছবিটার দিকে তাকালে স্পষ্ট বোঝা যায় আমরা আসলে পহেলা বৈশাখ কিভাবে পালন করব। তাছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের সূর্যের কাছে চাইতে হবে এরকম কোন কিছু আছে, পান্তা ভাত ইলিশ খেয়ে আমাদের দিন শুরু করতে হবে এরকম কি কোন কিছু আছে। আমরা এমন হয়ে গেছি যেখানে আমাদের পান্তা ভাত খাওয়া ও নববর্ষের দিনে বাকি না দেওয়া, কাউকে ধার না দেওয়া, ইত্যাদি একটা কমন কুসংস্কৃতি হয়ে গেছে। এগুলোর গণ্ডি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে এবং যথাসম্ভব কিছু কুসংস্কার সংস্কৃতি পালন করা থেকে আমাদের যুব সমাজ তথা যুব প্রজন্মকে বিরত রাখতে হবে।
ইসলামে কতটুকু নববর্ষ পালন জায়েজ একটু ঘুরে এসে আসুন: https://quraneralo.com/banglanewyear/?amp