সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও ভাইয়া।
কিন্তু আমাদের দেশে যে মঙ্গল শোভা যাত্রা হয়, এটা আসলে কতো বছর ধরে হয়ে আসছে? এটাকে বাংলাদেশের ঐতিহ্য বলা হচ্ছে। এগুলো কিভাবে বাংলাদেশের ঐতিহ্য হয়? হাতাকাটা ব্লাউজ পড়ে, কপালে এতো বড় একটা টিপ লাগিয়ে নাচতে পারলেই কেবল সেটা ঐতিহ্য হয়ে যায়? এতো বড় বড় মূর্তি গুলো বানিয়ে রাস্তায় শো-ডাউন দেওয়া কোন ধরনের ঐতিহ্য? আমার তো মনে হয় এটা শাহবাগীদের ঐতিহ্য।
মঙ্গল শোভা যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সাল থেকে, এটি প্রথম এ ছিলো আনন্দ শোভা যাত্রা নামে পরিচিত। মাত্র ৩৬ বছরের পুরোনো ইতিহাস এটি। শাহাবাগী বললে ভুল হবে না কারন, আনন্দ শোভা যাত্রা শুরু হয়েছিলো ঢাকার চারুকলার শিক্ষার্থী আর স্যার দের হাত দিয়েই। সেই সময়ে এই যাত্রা শুরু হয়েছিলো আমাদের দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে দেশের সকল মানুষকে একটু রেহাই দিতে। যাতে সবাই আতংকে না থেকে একটু স্বস্তিতে থাকতে পারে।
এক মহিলা দেখলাম পর্দার ব্যাপারে একটা সাখ্যাৎকার দিচ্ছে। বলছে আমি কপালে বড় টিপ লাগিয়েছি পর্দা হিসেবে। এটাকেই আমার পর্দা হিসেবে ধরে নেয়া হোক। পর্দা করার জন্য পুরো মুখ জুড়ে নাকি টিপ লাগাবে। মানে কি একটা মকিং করলো পর্দার কথা বলার কারনে।
এরকম শাহাবাগী আগে থেকেই ছিলো, কিন্তু সম্প্রতি আমরা তাদের মিডিয়ায় অনেক বেশি হাইলাইট করি। যে কারনে তারাও সুযোগ পেয়ে বসেছে, সামান্য কিছু বতর্কিত কাজ আর কথা বললে যদি সবার লাইম লাইট এ আসা যায় তাহলে কেনো নয়।
আমাদের দেশ মুসলিম ভিত্তিক দেশ হলেও এর প্র্যাকটিকাল ব্যবহার খুব কমই ছিলো, যদি আপনি তুলনা করে দেখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন৷ ছোটবেলায় দেখতাম এলাকার বাজার গুলো তে মেলা বসত ডেট ঠিক করে, সবাই হই হুল্লোর করে যেতাম ও ঠিক। গালে একে নিতাম বিভিন্ন রকম এর চিত্র।কিন্তু এই সব ই ইসলামিক দৃষ্টি কোন থেকে নিষেধ৷ আস্তে আস্তে আমরা সবাই এটা যত বেশি উপলব্ধি করতে থাকি, আর তরুন দের মাঝে যখন এটা ছড়িয়ে পড়তে থাকে৷ মেলা নামক শব্দ টা প্রায় বিলিন ই বলা যায়।
আমাদের ঐতিহাসিক পহেলা বৈশাখ, নববর্ষ বা নবান্নের উৎসব ছিলো আমাদের ঘড়ে ফসল উঠানো নিয়ে। সবাই যখন খুশির ঢেকর নিয়ে ভাত খেতে বসত, যে তাদের এ বছরের ফসল উঠে গিয়েছে সেটা ছিলো আমাদের উৎসব
পহেলা বৈশাখ, শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা
নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাদের ও