মার্কেট আসলেই কখন কোন পজিশনে যায় কেউ আন্দাজ করতে পারে না। আমার কিছু পরিমাণ ডলারের সমতুল্য বিটকয়েন ছিল এবং ভেবেছিলাম আমি হোল্ডিং করে রাখবো কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। যখন বিটকয়েন ৭৯k তে চলে গিয়েছিল তখন দুই/একজনের ভবিষ্যতবাণী দেখে ভয়েই বিক্রি করে দিয়েছিলাম। আসলে বিটকয়েন আমার মত ভীতু মানুষের জন্য না। যদি হোল্ডিং করেই দু-এক সপ্তাহ রেখে দেই যদি দেখি মার্কেট কমে গেছে তখন মনের মধ্যে এতটাই ভয় ঢুকে যায় যে হয়তো বিটকয়েন এই বুঝি চিরতরে শূন্য হয়ে গেল। এভাবে আমাদের মত হোল্ডারদের দিয়ে হবে না এবং আমাদের জন্য বিটকয়েন নয়। যা হোক আপনাদের মত স্থিতিশীল মানুষদের জন্যই বিটকয়েন।
বিটকয়েন ইনভেস্টমেন্ট করার ইচ্ছা থাকলে সব সময় এমন ভাবে ইনভেস্টমেন্ট করবেন যে ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডটা ছোট হোক কিন্তু সেটার লং টার্মের জন্য আর ইনভেস্টমেন্টটা রেগুলার করার চেষ্টা করবেন যেমন DCA(Dollar-cost-averaging) স্ট্রাটেজি ফলো করবেন দেখবেন বিটকয়েন ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে আপনার অত প্যানিক কাজ করবে না।
কারণ এখানে আপনি খুবই অল্প এমাউন্ট করে ইনভেস্টমেন্ট করবেন আর আমাদের অন্তত এটা মাথায় রাখা উচিত বিট কয়েন এমন একটি কয়েন যা কখনো ভ্যানিশ হওয়ার চান্স নাই মানে জিরোতে আসার চান্স নাই যা অন্যান্য অল্ট কয়েন গুলোর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
আর তাছাড়া আমরা তো অনেকেই ব্যাংকে ফিক্স ডিপোজিট করে রাখি পাঁচ বছরের জন্য বা দশ বছরের জন্য বা আট বছরের জন্য।
চাইলে একবার প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকার সমপরিমাণ বিটকয়েন কিনে পাঁচ বছর ওইরকম ফিক্স ডিপোজিট করে দেখুন তারপর বইলেন কত পারসেন্ট প্রফিট হয়েছে।
আমার চিন্তা অনেকটাই এরকম যে বিটকয়েন যতই ডাম্প করুক না কেন যেহেতু আমি আমার বিটকয়েন কে লং টার্মের জন্য হোল্ড করার ক্ষমতা রাখি তাই আমার কোন পেনিক কাজ করে না।
অন্তত ব্যাংক থেকে মুক্ত আছি যে টাকার স্টেটমেন্ট দিতে হবে না।
আমি তো শুনলাম সিটি ব্যাংকের অবস্থা বর্তমানে আরো খারাপ অনেকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়ে গিয়েছে অলরেডি স্টেটমেন্ট দেখানো ছাড়া টাকা উত্তোলন করতে দেবে না।