তাই, মোট কথা OTC একটি পঞ্জি স্কিমে পরিণত হয়। যখন একের পর এক নতুন প্রজেক্ট আসে, তখন নতুন ইনভেস্টরদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুরনো ইনভেস্টরদের দেওয়া হয়। এবং এক পর্যায়ে যখন এই OTC চুক্তিতে প্রচুর পরিমাণে টাকা সংগ্রহ করা হয় এবং খুব বেশি পরিমাণে ইনভেস্টমেন্ট করা হয়, তখন এই স্ক্যাম করা হয়। অনুমান করা হয় যে ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি কেলেঙ্কারী স্ক্যাম করা হইছে।
এগুলাকে আমার এলাকার ভাষায় বলা হয় খাবলা খাওয়া। যারা মিলিয়ন ডলারের স্ক্যামে পড়ে, তারা ভাই মিলিয়ন ডলার হারানোর মতো সক্ষমতা রাখে। আমরা যারা সাধারণ ইনভেস্টর, একটা টোকেনে হয়তো ৫০০ বা হাজার খানেক ডলার ইনভেস্ট করি, আমরা এসব স্ক্যামে পড়লে এই লস রিকভার করাই আমাদের জন্য কষ্ট হয়ে যায়। আমি অল্টকয়েনে মোটামোটি ৫-৬ হাজার ডলার লস করেছি শুধুমাত্র ২০২৪ থেকে চলতি মাস অবধি।
কিছু কিছু কয়েন ৯৯% ভ্যালু হারিয়ে ফেলেছে। এর মানে হলো এদের টিম মোটামোটি মানুষের সাথে স্ক্যাম করেছে। এরকম নাম না জানা হাজারো প্রজেক্ট আছে যারা মার্কেটে আসছে অনেক প্রমিসিং প্রজেক্ট হিসেবে। কিন্তু শেষে মানুষের টাকা মেরে দিচ্ছে। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি আর অল্টকয়েনে যাচ্ছি না। অল্টকয়েনে ইনভেস্ট করা আর জুয়া খেলা একই কথা। আর OTC ডিল? এগুলার করার মতো টাকা নাই ভাই।