এগুলো দেখে মেনে নেয়া অনেক কষ্টকর একটা ব্যাপার। চোখের সামনে এরকম ছোট ছোট বাচ্চা গুলো। একটা স্কুল শিক্ষার্থীর যে বর্ণনা শুনেছি, ও যেভাবে বলছে যে কারো মাথা নাই, কারো হাফ বডি নাই। কারো মাথার মগজ নাই। কারো হাত পা আলাদা হয়ে গেছে, এগুলো শুনে আসলে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। ছোট ছোট বাচ্চা গুলো কিছুই বুঝে না। প্লে থেকে ৮ম শ্রেনী অব্দি সম্ভবত সেই বিল্ডিং এ ক্লাস করে। এই ছোট ছোট বাচ্চা গুলো কিভাবে এই ধকল সামলাবে? আমার নিজের বাচ্চাকে এরকম সিচ্যুয়েশনে কখনোই কল্পনা করতে পারি না। ছোট ছোট মাসুম বাচ্চা গুলোর হাত পা আলাদা হয়ে যাওয়ার খবর শুনেই কষ্ট হচ্ছে। নিজের চোখে দেখার সাহস নেই আমার। বাচ্চা গুলোর জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে। যদিও আমার এক ফ্রেন্ড সেখানে যেতে বলেছিলো, ভেবে দেখলাম সেই এলাকা এমনিতেই মানুষ দিয়ে ভরে গেছে। আমি গেলে সেখানে কোনো হেল্প হবে না। উদ্ধার কাজ চলছে। তবে হয়তো হাসপাতালে রক্ত দিতে পারতাম।
আজকে ভাই ফেসবুকে ইউটিউবে যত টাইম দিতেছি তত বেশি ট্রমাটাইজ হয়ে যাচ্ছে, আমি ভাই এমনি ইমোশনাল একজন মানুষ।
এক বাবা বলতেছে " না জানি ওর কত কষ্ট হয়েছে, আব্বু তোমারে আমি আর একটা চুমা দিতে পারলাম না",
এক শিক্ষিকা ৮০% পোড়া শরীর নিয়ে বিশ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিজে একটু আগে নিজে আল্লাহ ডাকে ছাড়া দিয়েছে।
মা সন্তানকে পাচ্ছে না দেখে হাহাকার করতেছে।
ডাক্তার সাংবাদিকদের কাছে অবস্থার বর্ণনা দেওয়ার সময় ছোট ছোট বাচ্চা বলে কেঁদে দিচ্ছে কথা বলতে পারছে না ।
আল্লাহ জানে আর কয়জন দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করবে।
আল্লামাবুদ জানে অত্যাচারী দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা বাংলাদেশের যে শরীরে যে শত শত ক্ষত তার মাসুল আমরা কতদিন ধরে দিব। সামরিক খাতে টাকা নিয়ে সেই টাকা তারা খাইছে আর ব্রিটিশ আমলের মুড়ির টিন দিয়ে তাও জনবসতি এলাকায় ট্রেনিং করায়।