এইটা কোন কথা হলো, একটা দর্শনীয় স্থান যেখানে ভ্রমণ পিয়াসী মানুষগুলো একটু অবসর সময় কাটানোর জন্য ভ্রমণ করতে যায়। অথচ সেই সাদা পাথর এখন বর্তমানে সাদা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। এইটা আমরা কোন দেশে বসবাস করি। আমরা মানুষ হিসাবে জীবনেও দাবি করতে পারবোনা। ওই অঞ্চলে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এই কাজগুলো হচ্ছে এবং এখানে আইনের লোক গুলো সম্পূর্ণ নিরুপায় এবং নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দেশের আইন শৃঙ্খলার সর্বোচ্চ অবনতি হচ্ছে।
কিছু বলার নেই ভাই নিরব দর্শক হয়ে দেখা ছাড়া। এটাই আমাদের সোনার বাংলাদেশ যেখানে বিপ্লব হয়েছিল নতুন কিছু হবার আশায় কিন্তু এইখানে বিপ্লব নিজেই গায়েব হয়ে গিয়েছে। আসলে বিপ্লবকে গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। এইরকম অন্যায় অত্যাচার পাপাচার খুন-খারাপি চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি সবকিছুই হচ্ছে দেশে। দেশের আইন কোন কিছুই করতে পারতেছি না এটা সরকারের বড় একটা বিপর্যয়ের ব্যর্থতা। আর আমাদের দেশের মানুষেরা তো একদম দুধের দোয়া তুলসী পাতা এরা কাজ করে খাবে তা না তারা কিভাবে মানুষকে মেরে অত্যাচার করে খাওয়া যায় সেই দিকে খুবই পারদর্শী। দেশটা শেষ হয়ে গেছে ভাই হাসিনার আমল থেকেই লুটপাট শুরু হয়েছে আবার বিপ্লব হল কিন্তু সেই বিপ্লবটাও গায়েব হয়ে গেলে। এই দেশে আর ভালো কিছু কোনদিন হবে বলে মনে হয় না।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তাদের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য জীবন পর্যন্ত বাজি রাখে অথচ আমরা এমন মানুষ হইলাম যে নিজের দেশের ঐতিহ্য লুটপাট করে খাচ্ছি। তাহলে বুঝতে পারলাম স্বাধীনতার পরে কেন বাংলাদেশের লুটপাত বেড়ে গিয়েছিলো। তখনো যে বাঙালি ছিল এখনো একই বাঙালি আছে বাঙ্গালীদের রক্তে প্রবাহের কোন পরিবর্তন হয়নি। বাঙ্গালীদের রক্তে নিজের ক্ষতি করা, অন্যের ধনসম্পদ লুটপাত করে খাওয়া, দুর্নীতি করা চুরি ডাকাতি করা ইত্যাদি একটা কমন ধমনী প্রবাহ। এই ধমনী প্রবাহ শিরা-উপ শিরায় গিয়ে শেষ হয়েছে। তাই মনুষ্যত্বের চিকিৎসা যতই করি না কেন রক্ত দূষিত হলে কখনো স্বভাব পরিবর্তন হবে না।
বাঙ্গালীদের এখন সারা বিশ্বের মানুষকে ঘৃণা করে কারণ এই বাঙালি জাতি একটা নিকৃষ্ট জাতি বলে প্রতিনিয়ত পরিচিতি লাভ করতেছে। এই ২-৩ দিন আগে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে দেখলাম একজন পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে এসেছে জাপান থেকে। সেই লোকের ম্যাকবুক মোবাইল ফোন সবকিছু বখাটে ছেলেরা কেড়ে নিয়েছে। লোকটা আহাজারি করতেছে কান্নাকাটি করতেছে কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করতেছে না সেটা উদ্ধার করার কাজে। দেখলাম পাশেই পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে চাইলেই স্টেশনে থেকে অতি অল্প সময়ের ভিতরে বখাটে ছেলেদের কাছ থেকে এগুলো উদ্ধার করে দিতে পারত কিন্তু কিছুই না তারা হা করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেছে। বাংলাদেশে ভাই ভালো কিছু আর নেই সব শেষ হয়ে গেছে। আমরা চাইলেও আর ভালোর দিকে ফিরে আসতে পারতেছি না বা পারব না কারণ আমরা একদম নিচ থেকে নষ্ট হয়ে এসেছি ভালো হওয়ার আর কোন কিছু নেই বললেই চলে।
Little Mouse ভাই আপনি ২০১৮ সালের ১৩ই আগস্ট এই ফোরামে এসেছিলেন। আজকের এই দিনটা আপনার জন্য অ্যানিভার্সারি হিসেবে পালিত হওয়া উচিত। আপনার যাত্রা শুরু হয়েছিল এখান থেকেই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। আপনার সামনের অগ্রযাত্রা গুলো আরো সুন্দর এবং সাফল্যমন্ডিত হোক দোয়া করি। আপনার সাথে যেন আমরাও পিছন পিছন এগিয়ে আসতে পারি, আমাদের মত ছোট্ট ভাইদের প্রতি নজর রাইখেন ভাই।