সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর কেলেঙ্কারি
এইটা কোন কথা হলো, একটা দর্শনীয় স্থান যেখানে ভ্রমণ পিয়াসী মানুষগুলো একটু অবসর সময় কাটানোর জন্য ভ্রমণ করতে যায়। অথচ সেই সাদা পাথর এখন বর্তমানে সাদা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। এইটা আমরা কোন দেশে বসবাস করি। আমরা মানুষ হিসাবে জীবনেও দাবি করতে পারবোনা। ওই অঞ্চলে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এই কাজগুলো হচ্ছে এবং এখানে আইনের লোক গুলো সম্পূর্ণ নিরুপায় এবং নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দেশের আইন শৃঙ্খলার সর্বোচ্চ অবনতি হচ্ছে।
এগুলো দেখাশোনার দায়িত্ব ছিলো বিজিবির। পুলিশ সেখানে থাকে না। যেহেতু এটা জিরো পয়েন্ট এলাকা, এখানে বিজিবি সব সময় টহল দিতো। আমি যখন সেখানে গিয়েছিলাম, বিজিবির পাহারা সেখানে চলমান ছিলো। হাসিনা পালানোর পর পর এসব ঘটনা ঘটেনি। ঘটেছে গত সপ্তাহে। হাসিনা পালানোর ১ বছর পর এসে এই ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির রুহুল কবির রিজভীর সাক্ষরিত একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি তে জানা যায় যে সেই এলাকার বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে পাথর চুরির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তারা তাকে দল থেকে বহিস্কার করেছে। তার মানে হলো, বিএনপি এর দায় নিয়েছে। শত কোটি টাকার পাথর সরিয়ে ফেলার পর এখন বহিস্কার করে আর কি লাভ? বিএনপি কি এমন হয়ে গেছে যে তারা যখন যেখানে পারবে লুটপাট করবে? হুট করে বিজিবি সেখান থেকে টহল সরিয়ে নেয়ার কারন কি? সেখানে এরকম নিরব ভূমিকা পালন করার পেছনে কারণ কি? সরকার থেকে এটা কি ইনভেস্টিগেট করা হয়েছে? দিন দুপুরে ডাকাতের বাচ্চারা সব লুটে খাচ্ছে।
দেখছেন দায়িত্ব পালন করার নিয়ম, পুরা একটা এলাকার পাথর চুরি হয়েছে অথচ পুলিশ ও বিজিবি লোকেরা পাথর চুরি হওয়ার দুদিন তিনদিন পর সেখানে উপস্থিত হয়। মানে বাংলাদেশের এখন যতগুলো অপরাধমূলক কর্মকান্ড হচ্ছে সেগুলো পুলিশের সামনে হলেও দুদিন পর পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। ঠিক এরকম ডাক্তার আসিবার আগেই রুগি মারা গেছে অর্থাৎ ডাক্তার অনেক পরে সেখানে পৌঁছেছে। একটা এলাকার বিএনপি নেতারা পুরা প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে ফলে সেখানে আপনি যদি পুরো জেলার পাথর সরান তাতেও পুলিশ বা বিজিবি লোকেরা সেখানে যাবে না। কয়েকদিন আগে থানার ঠিক নিকটে সাংবাদিক তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মারল অথচ পুলিশ কিন্তু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলো কোন কিছুই করল না। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসা করে এখানে কিভাবে মারা হলো অপরাধী কি কোনো প্রমাণ আছে কিনা। কুপিয়ে মারা হয়েছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে পাথরও ঠিক ওভাবে চুরি হয়েছে যেখানে পুলিশ মাঝে মাঝে হয়তো পাথর লোড গাড়ি বা নৌকা তারা বৌঠা দিয়ে বেয়ে সরাতে সাহায্য করেছে। নিষ্পাপ আইনি ব্যবস্থা।