Post
Topic
Board Other languages/locations
Re: "হাউস অফ নাকামোতো” বিটকয়েনের একটি দোকান
by
Bitcoin_people
on 10/05/2023, 06:02:22 UTC

~~snip~~
আচ্ছা মনে করেন বাংলাদেশে বিটকয়েনের বৈধতা দেয়া হয়েছে অনেক আগেই যা আমরা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিটকয়েন ব্যবহার শুরু করে দিয়েছি। তাহলে আমাদের দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক সেভাবেই বিটকয়েনের উপর ক্রমবর্ধমান ট্যাক্স এর পরিমাণ সেভাবে বৃদ্ধি পাবে।।।

2010 সালে
১ কেজি চাউল ১৩ টাকা
১ কেজি আটা ১০ টাকা
১ লিটার দুধ ১৫ টাকা
১ লিটার পেট্রোল ৩৫ টাকা
১ হালি ডিম ১৪ টাকা
১ কেজি পোল্টি ৫০ টাকা
১ কেজি গরুর মাংস ২৫০ টাকা
বিটকয়েনের উপর ট্যাক্স ৩০%(মনে করি)

২০২০ সালে
১ কেজি চাউল ৪০ টাকা
১ কেজি আটা ৩০ টাকা
১ লিটার দুধ ৫০ টাকা
১ লিটার পেট্রোল ৮৫ টাকা
১ হালি ডিম ৩৬ টাকা
১ কেজি পোল্টি ১২০ টাকা
১ কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা
বিটকয়েনের উপর ট্যাক্স ৪০%(মনে করি)


২০২৩ সালে
১ কেজি চাউল ৭০ টাকা
১ কেজি আটা ৬০ টাকা
১ লিটার দুধ ৮০ টাকা
১ লিটার পেট্রোল ১৪৫ টাকা
১ হালি ডিম ৬০ টাকা
১ কেজি পোল্টি ২৯০ টাকা
১ কেজি গরুর মাংস ৮০০ টাকা
বিটকয়েনের উপর ট্যাক্স ৬০%(মনে করি)

২০২৫ সালে আল্লাহ যদি বাচাইয়া রাখেন
১ কেজি চাউল ১০০ টাকা
১ কেজি আটা ৯০ টাকা
১ লিটার দুধ ১৩০ টাকা
১ লিটার পেট্রোল ২৫৫ টাকা
১ হালি ডিম ১০০ টাকা
১ কেজি পোল্টি ৬০০ টাকা
১ কেজি গরুর মাংস ১৪০০ টাকা
বিটকয়েনের উপর ট্যাক্স ৯০%(মনে করি)

এভাবে যদি প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের সাথে বিটকয়েনের ট্যাক্স এর পরিমাণ বাড়তে থাকবে তাহলে আমরা শুধু উপার্জন করবো আর সরকারকে দিয়ে দিব।
আমরা যেমন বিটকয়েনের বৈধতা নিয়ে আফসোস করছি ঠিক আমাদের দেশে বৈধতা পেলে ট্যাক্স নিয়ে আফসোস করব যে কেন বাংলাদেশ বিটকয়েনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে না। তাই যেভাবে আছে ঠিক সেভাবেই থাকতে দিন ,আমরা তো বিটকয়েনের বৈধতা ছাড়াই অনেক ভালো আছি।

আমি মনে করি আমাদের দেশে যদি বিটকয়েন বৈধতা দেওয়া হয় তাহলে নিত্য নতুন যে সমস্ত পণ্যগুলো রয়েছে তার দাম কমবে না বরং বৃদ্ধি পাবে। কেননা বাংলাদেশে যদি বিটকয়েন লেনদেন করা হয় তাহলে ক্রমাগতভাবে প্রতি বছরই বিটকয়েনের ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমানে আমাদের দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রতি যেভাবে ট্যাক্স নেওয়া হয় এতে করে বোঝা যায় বিটকয়েন অনুমোদন দিলে কতটা ট্যাক্স নিবে বাংলাদেশ সরকার।
আর প্রতিনিয়ত যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে দেশের মানুষ অনেক অনাহারে পড়ে গিয়েছে যারা দিনমজুর তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে উঠেছে পরিবার নিয়ে বসবাস করা।
২০২০ সালে বিভিন্ন জিনিসের মূল্য যতটা ছিল তার তুলনায় ২০২৩ সালে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে আর সাথে তো ট্যাক্স আছেই সব জিনিসের মধ্যেই। বিজ্ঞান বাংলাদেশের অনুমোদন দিলে অবশ্যই ট্যাক্স পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃদ্ধি হবে ২০২৩ সালে বিটকয়েনের উপর ট্যাক্স  ৬০% যদি ট্যাক্স ধরা হয় তাহলে যারা বিটকয়েন ব্যবহার করবে তারা পথের ফকির হয়ে বসে থাকবে। তাই আমাদের দেশে যেরকম আছে এভাবেই থাকাটা আমি ভালো মনে করি যদি বিটকয়েনের বৈধতা দেয়া হয় তাহলে দেশে যত নেতারা আছে তাদের ওয়ালেটে বিটকয়েনের অভাব হবে না। যারা প্রতিনিয়ত বিটকয়েন দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করবে তাদের ট্যাক্স দিতে দিতে ফকির হয়ে যাবে তাই যেরকম আছে বর্তমানে এরকম থাকাটাই বেটার আমরা যেভাবে বিটকয়েন ব্যবহার করি এভাবেই আমরা অনেক সুবিধার মধ্যে বিটকয়েন ব্যবহার করতে পারছি। বাংলাদেশে বিটকয়েন অনুমোদন যাতে ভবিষ্যতে না দেওয়া হয় এটাই আমার মন্তব্য বৈধতা দেওয়া হলে বর্তমানে বাংলাদেশ যে পজিশনে রয়েছে ভবিষ্যতে এতোটুকুও থাকবে না।
আপনি কয়েকটি অপশন বাদ দিয়ে দিয়েছেন আমাদের দেশে ১ কেজি সয়াবিন তেল এর মূল্য যেখানে ২০০ টাকা সেখানে গরিব লোকেরা কিভাবে তাদের সংসার চালাবে। আপনি দেখেন সয়াবিন তেল ছাড়া কোন কিছুই রান্নাবান্না করা যায় না এই তেল সব সময় প্রয়োজন হয়। তেল ছাড়া কোন পরিবারে রান্না করতে পারেনা খাবারের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় আর এটা ভেবেই আমাদের দেশে তেলের দাম সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে। Grin ১ লিটার তেল কিনতে গেলে বাজারে পকেটের টাকা শেষ হয়ে যায় বাকি বাজারগুলো করার মতো মন মানসিকতা আর থাকে না Grin এটাই আমাদের বাংলাদেশ।
আরেকটি জিনিস হচ্ছে চিনি যার মূল্য বর্তমানে ১২৫ টাকা কেজি আগে ছিল ৪৫ টাকা কেজি তবে ২০২৩ সালে এসে চিনির দাম তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ভাবা যায়Huh। মানুষ কি কিনে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করবে সব জায়গায় ট্যাক্স আর ট্যাক্স সুঁই-সুতা থেকে শুরু করে আমাদের দেশের সকল পন্যতেই ট্যাক্স নেওয়া হয়
আর যারা চাকরি করে তাদের বেতন কোন কোম্পানিতেই বাড়ানো হয়নি আগের মতই রয়েছে কিন্তু জিনিসপত্র কিনতে গেলে তাদের হিমশিম খেতে হয়। বিশেষ করে যারা মধ্যবিত্ত এবং গরিব ফ্যামিলি রয়েছে তাদের সংসার চালানোটা অনেক কষ্টকর হয়ে গিয়েছে বর্তমানে কিন্তু কোন পণ্যের দাম কমছে না বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ভবিষ্যতে কি হয় কিছুই বোঝা যায় না।
আর যদি এই সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি অনুমোদন দেওয়া হয় তাহলে বিটকয়েনে যারা লেনদেন করবে তাদের কি হাল হতে পারে এটা আমরা ভালো করেই বুঝতে পারছি। ট্যাক্স এর পরিমাণ এতটাই বাড়ানো হবে যে বিটকয়েন থাকবে তা লেনদেন করতে গেলে আরো ঋণ হতে হবে। Grin