ক্রিপ্টোকারেন্সি যদি বৈধতা দেয় তাহলে ৩৫% এর উপরে হয়তো কর দিতে হবে । তখন আমাদের মনে হতে পারে যে বৈধতা না দেয়াই ভালো ছিলো ...!
সরকার কীভাবে আমাদের কাছ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর কর ধার্য করবে? কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে কর গ্রহন করবেন? আমি এখন বিটকয়েনে বিনিয়োগ করেছি তা আমি ছাড়া কেউ জানে না। যখন আমাদের দেশে বিটকয়েন বৈধ করা হবে তাহলে কি সরকার জানতে পারবে আমার কাছে বিটকয়েন আছে আমি বিনিয়োগ করেছি? আমি যদি সরকারকে আমার বিনিয়োগের মুনাফা থেকে কর প্রদান না করি। তা হলে কি আমার কাছে থেকে কর নিতে পারবে?
নিজেকে খুব চালাক মনে করলে তাহলে আপনি ভুল করলেন। আপনি দেশের সুবিধা নেবেন অথচ সরকারকে ভ্যাট দেবেন না এটা কি হয়। যখন সরকার আপনাকে বিটকয়েন ব্যবহারের অবাধ সুবিধা দেবে আর আপনি সেই সুবিধা গ্রহণ করবেন অথচ ট্যাক্স দিবেন না এটা সরকার কখনো মেনে নেবে না। সরকার যখন বিটকয়েন কে বৈধতা দেবে তখন সরকার আপনাকে বাধ্যতামূলক কিছু ওয়ালেট ব্যবহার করতে বাধ্য করবে। আর ওই ওয়ালেট ব্যবহার করলে আপনার সকল নথিপত্র সরকারের ঘরে জমা হবে।
এখন হয়তো সরকারি চোখে ফাঁকি দিয়ে বিটকয়েন ব্যবহার করতে পারছেন তখন আর সরকারের চোখে ফাঁকি দিতে পারবে না।
আজ থেকে প্রায় তিন-চার বছর আগের কথা অথবা তার চেয়েও বেশি আগে হতে পারে যখন বাইনান্স একাউন্ট ছিলনা অথবা আমরা ইউজ করতাম না। তখন বাইনান্স পি টু পি এগুলা কি আমরা জানতাম না। তখন আমরা ফেসবুক মেসেঞ্জারে মাধ্যমে বা গ্রুপের মাধ্যমে আমরা ডলার কেনাবেচা করতাম। তখন খুব চুপিসারে ডলার কেনাবেচা করতাম। আমরা যাকে ডলার দিতাম সে আমাদের একই থানার ছিল। মাঝে মাঝে আমরা তার কাছে গিয়ে কয়েনবেজর মাধ্যমে ডলার দিতাম। তখন ঐ বড় ভাইয়ের মুখ থেকে আমরা শুনেছিলাম যারা কয়েন বেস ইউজ করে তাদের সকল নথিপত্র আইনের আওতায় রয়েছে। আমরা ওই সময় খুব ভয়ে ভয়ে ডলার কেনাবেচা করতাম কিন্তু যেদিন থেকে ওই ভাইয়ের কাছ থেকে আইনের ঘরে আমাদের নাম আছে এ কথা শুনলাম তখন বেশ কয়েকদিন ডলার কেনাবেচা বন্ধ রেখেছিলাম। এখনো আমি সম্পূর্ণ ক্লিয়ার না যে আইনের লোকেরা আমাদের ইনফরমেশন কিভাবে পায়, তবে আমার বিশ্বাস হয় আইনের ঘরে আমাদের ইনফরমেশন আছে ।