Post
Topic
Board Other languages/locations
Re: বাংলাদেশ (Bengali)
by
Dimitri94
on 19/06/2023, 17:13:49 UTC
তাই সবার উদ্দেশ্যে বলছি চাকরির পিছনে না দৌড়িয়ে এমন একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করুন যার মাধ্যমে আপনি একজন আদর্শ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন বা এমন একটি মুক্ত পেশায় অভিজ্ঞতা অর্জন করুন, যেখানে আপনি নিজেই নিজের বস হিসেবে কাজ করবেন.

অভিজ্ঞতা অর্জন করলেই আপনি যে উদ্যক্তা হতে পারবেন তার কোনো গ্যারান্টি নাই। বাংলাদেশ এ অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাক্তি এখনও বেকার বসে আছে। নিজের একটি ব্যাবসা করতে গেলেও টাকার প্রয়োজন। আপনার বাবার সম্পত্তি না থাকলে আপনি সেটিও করতে পারবেন না। এটলিস্ট বাংলাদেশ এ এইটা সম্ভব না। Opportunity ই নাই এই দেশ এ। চাকরি খারাপ জিনিশ না। আপনি যদি নিজের সাথে খাপ খাইয়ে এবং নিজের যোগ্যতা দিয়ে কোনো চাকরি নিতে পারেন, আলহামদুলিল্লাহ। এই চাকরি থেকে আপনি টাকা জমিয়ে নিজের একটি ব্যাবসা চালু করতে পারবেন। অথবা চাকরির সাথে সাথে আপনি একটি ব্যাবসা ও চালাইতে পারবেন।
সিস্টেম টাই ব্রোকেন, এইখানে আপনি হাজার চাইলেও নিজের যোগ্যতা দিয়ে কিছু করতে পারবেন না। আর করলেও অন্যরা আপনার পা ধরে টেনে নামাবে। এইটাই বাংলাদেশ।
তবে বলতে চাই, চাকরির পিছনে দৌড়ানো খারাপ কিছু না। পেয়ে গেলে তো চিন্তা মুক্ত, আর চাকরির পাশাপাশি আপনার অভিজ্ঞতা বাড়ান। তাহলে চাকরির এডভান্টেজ ও পাবেন এবং অভিজ্ঞতা থাকেল তা পরে কাজে লাগিয়ে নিজের মত কিছু করতে পারবেন। তবে একটি ছেড়ে অন্যটি কে মূখ্যভাবে নেওয়া টা যুক্তিসম্মত না।

আর আপনি যদি গ্রামে বাস করেন, তাহলে নিজে উদ্যোগতা হওয়াও কঠিন। আবার ছোটখাট ইনভেস্টমেন্ট দিয়ে কাজ ও হয় না। কয়েকদিন আগে বাজারে বসে আমার বন্ধুদের সাথে আলাপ করছিলাম যে কি করবো। চাকরি বাকরি চাইলে হয়তো করা যায়। তবে অনেকের যোগ্যতা অনুযায়ী পদ বা বেতন পাওয়া অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। আবার অনেক অযোগ্য লোকজন অনেক ভালো ভালো পদে বসে আছেন যারা সেটার যোগ্য নয়। যেহেতু গ্রামে থাকি, এখানে কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। রেস্টুরেন্ট বিজনেস একটা ভারো ব্যাবসা। তবে গ্রামের মানুষ নিজের ঘরে খেতেই বেশি ভালোবাসে। গ্রামে এটার চিন্তা করে লাভ নাই। সবাই একটাই সাজেশন করে গরু পালন করার জন্য। অনেক কাজ শিখেছি করার মতো। তবে মারকেট প্লেস এ ক্লাইন্ট পাওয়াও একটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার যদি আপনি বাংলাদেশের মতো থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতে বাস করেন।
ভাই আমি আপনার সাথে সহমত দিচ্ছি যে একজন উদ্যোগক্তা হওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ বিশেষ করে গ্রাম্য এড়িয়াতে। কারন সেখানে অনেক প্রতিকুল পরিবেশ সৃস্টি হয়ে থাকে। তবে আমাদের একটি বিষয় কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না সেটি হল যে যদি আমরা উদ্যোগক্তা হতে চায় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ঝুঁকি নিতে হবে পাশাপাশি একটি লক্ষ্যে স্থির খাকতে হবে সর্বপরী পজিটিভ দৃস্টিভঙ্গি থাকতে হবে।

আমরা প্রায়শই মনের ভেতরে লুকানো অনেক কিছুই প্রকাশ করতে পারি না। অনেকেই মনে মনে চিন্তা করি এটা করব ঐটা করব ইত্যাদি। কিন্তু সেটি কখনই ইমপ্লিমেনটেশন করার কথা ভাবি না। ফলে আমাদের সেই উদ্যোগক্তা হওয়ার স্বপ্ন সুপ্তই থেকে যায়। একজন উদ্যোক্তা এবং সাধারন মানুষের মধ্যে পার্থক্য হল যে সেই উদ্যোগক্তা স্বপ্ন দেখেছে এবং সেই অনুযায়ি তা বাস্তবে রুপ দিয়েছে আর সাধারন মানুষ সেটিকে শুধুমাত্র মনের ভিতরেই রেখে দিয়েছে। উদ্যোগক্তা হওয়া অবশ্যই একটি কঠিন কাজ।

উদ্যোগক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক দিক গুলোর পাশাপাশি ইতিবাচক দিক গুলো বিবেচনা করা জরুরী। সেই সব মানুষদের থেকে দুরে থাকা যারা শুধুমাত্র নেতিবাচক দিক গুলোকে প্রতিফলিত করে। তবে সবচেয়ে যে বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল একজন উদ্যোগক্তা হতে হলে তাকে অবশ্যই বিভিন্ন প্রতিকুল অবস্থায় নিজেকে স্থির রাখার মানুসিকতা তৈরী করতে হবে।