এতটা গুরুত্বসহকারে আমরা যেভাবে চিন্তা করছি এতটাও ভয় পাবার কোন কারণ নেই।
জীবনে সব কিছুই সাধারন ভাবে নেবার ও কিছু নেই। জীবনে যতোবার ধরা খেয়েছি বিভিন্ন ভাবে, প্রতিবারই ভেবেছিলাম আরে কি আর হবে? কিন্তু যখন হয়েছিলো, তখন বুঝেছিলাম। প্রাইভেসি বিষয়টা একক জনের কাছে একক রকম। কেউ দেখবেন নিজের বউ বাচ্চা সহ ফেইসবুকে ছবি দিচ্ছে। কেউ আবার অর্ধ নগ্ন হয়ে নাচানাচি করছে, আবার কেউ শুধু নিজের ছবিগুলোই শেয়ার করছে। ব্যাপারগুলো একেক জনের কাছে একেক রকম। যেহেতু বাংলাদেশে ক্রিপ্টো কারেন্সি বৈধ নয়, এখানে সাবধানতা অবলম্বন করা ভুল নয়। আমি কখনো ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ে ধরা খাইনি, এর মানে এই নয় যে আমি কখনো ধরা খাবো না। ছোট বেলায় বাবার মানিব্যাগ নিয়ে বাবার কাছেই দিতাম যে এটা থেকে টাকা দাও, কিন্তু একদিন বাবা যখন দেখলো আমি তার মানিব্যাগ ধরছি, সে ভাবলো আমি মনে হয় চুরি হয় করছি। আসলে আমি সেটা নিয়ে ওনার কাছেই দিতাম যে এটা থেকে টাকা দাও। কিন্তু সেদিন মার খেয়েছিলাম চুরির দোষে। আপনি যতোই এক্সকিউজ দেন না কেনো। ওনারা আপনাকে নেগেটিভ কিছুতে জড়িয়ে দেবে। সেটা হোক আপনার ইনকাম করা বিটকয়েন, বলবে আপনি টাকা পাচার করছেন।
কথাটা কিন্তু ভাই একদম সত্য। যখন ধরা খাব তখন আমার পাঁচ হাজার টাকার বিটকয়েন পাঁচ কোটি টাকার বিটকয়েন বানিয়ে মানি লন্ডারিং কেস দিয়ে আমার মেরুদন্ডের হার আমার পিছন দিয়ে ঢুকিয়ে দেবে। আমি ভাই এই সমস্ত বিষয় নিয়ে অনেক টেনশনে থাকি। তবে আমার বাড়ি থানার খুব নিকটে হওয়ায় সব সময় পুলিশ দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তাই পুলিশ দেখে অতটা ভয় লাগেনা।
বিএনপি ও জামাআত নির্ভর এলাকা হওয়ার জন্য অন্য সকল দিক দিয়ে সব সময় টেনসনে থাকতে হয়।
তবে আপনার মত আমি এখন পর্যন্ত এরকম পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পরিনি। আমি সম্পত্তি একটি সিগনেচার ক্যাম্পেইনে জয়েন হয়েছি আর ওয়ালেট পর্যন্ত আমি ইন্সটল করে রাখিনি। যদি কোনভাবেই পুলিশের হাতে মোবাইল চলে যায় তাহলে এ সকল খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বড় ধরনের ঝামেলা হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া বয়স অল্প হলেও টুপি দাড়ি আছে জন্য অন্যদিকে একটু ভয় লাগে।
টুপি দাড়ি পড়ে সাবধানে চলাচল করার চেষ্টা করবেন কারণ বলা যায় না পুলিশ হয়তো আপনাকে ধরে জামাত শিবির বাড়িতে পারে। বর্তমান দেশের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না, বিএনপি সহ অন্যান্য দলীয় সংগঠনের মহাসমাবেশে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে এবং একজন পুলিশকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে তখন থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অনেক বেশি কঠোর হয়েছেন এই সকল আন্দোলন দমানোর জন্য। জামাত এবং বিএনপির তিন দিনব্যাপী অবরোধকে ঘিরে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে আন্দোলনকারীরাও পুলিশকে পাল্টা আক্রমন করছে এভাবেই চলছে বিএনপি-জামাত এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ।
বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের প্রত্যেকের দুইটা করে মোবাইল ফোন থাকা উচিত অথবা একটা ফোন থাকলে আমাদের ক্রিপ্টো রিলেটেড অ্যাকাউন্ট গুলো হাইড করে রাখা উচিত যাতে প্রাথমিকভাবে পুলিশ আমাদের ফোন চেক করলেও বুঝতে না পারে আমরা এই সমস্ত সাইটের সাথে জড়িত। কারণ আমাদের দেশ এবং পুলিশের চোখে এটা অনেক বড় একটি অপরাধ।