বিভিন্ন দেশ তাদের সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য অন্যান্য দেশের সাথে চুক্তি করে। আবার নিজেদের লাভের জন্য সেসব চুক্তি বাতিল ও করে। ভারত বন্ধু রাষ্ট্র বলে কথা। কিন্তু ভারত কখনোই তাদের নিজেদের লস দিয়ে বাংলাদেশ কে সাহায্য করতে আসবে না। ফারাক্কা বাধ তারই একটা উদাহারন। ভারত কখনোই শুস্ক মৌসুমে বাংলাদেশে পানি আসতে দেয় না। আবার তারা হুট করেই সব বাধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশ ডুবিয়ে দেয়। যদিও বাধ করার সময় একটা চুক্তি ছিলো। সেটার দিকে কোনো কালের কোনো সরকারই তাকায় নি। বা তাকালেও কোনো রেজাল্ট আনতে পারেনি। গত মৌসুমেও ভারত পেয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেয়ার পর বাজার অস্থির হয়ে গিয়েছিলো।
ফারাক্কা নিয়ে আমাদের ভারত সরকারের সাথে কথা হইছে, অতি সীগ্রই এর সমাধান হয়ে যাবে, এই কথা মনে হয় আমি আমার জন্মের পর থেকে শুনতেছি। তবে এর প্রাকটিকাল কখনো চোঁখে আসেনি। অদূর ভবির্ষতেও হয়তো আসবে না। ফারাক্কা নিয়ে আমি হোপলেস।
আমরা বাংলাদেশী আমাদের দেশ থেকে ভারত অনেক শক্তিশালী দেশ। আমরা ছোট দেশ হওয়া ভারত আমাদেরকে সেরকম কিছু মনে করে না। ফারাক্কা বাধের জন্য সময় মতো আমরা পানি পাই না, আবার যখন পানির প্রয়োজন হয় না, তখন পানি ছেরে দেয় নানান ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়ে যায়। এতে করে সাধারণ জনগণ যারা কৃষি কাজ করেন তারা ক্ষতি সম্মুখীন হয়, এবং দেশে সংকট দেখা যায়। যদি এই জিনিসটা অন্য কোন শক্তিশালী দেশের সঙ্গে ঘটতো তাহলে কি এভাবে মেনে নিতো? কখনই মেনে নিতো না। যেকোন এক ব্যবস্থা করে ফেলতো। হয়তো আমাদের আজীবন মেনে নিতে হবে।
বাংলাদেশের উপর বহু আগে থেকেই কলোনিয়াল পাওয়ার দেখিয়ে আসছে ইন্ডিয়া। তারা বাংলাদেশের রাজনৌতিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক সবজায়গাতেই তাদের আধিপত্য ধরে রেখেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন রাস্ট্র হলেও তারা তাদের উপনেবেশিক ক্ষমতা বলে তারা বাংলাদেশ থেকে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করছে। তারা কখনও রাজনৌতিক কৌশল ব্যবহার করছে আবার কখনবা অর্থনৌতিক কৌশল। এছাড়া সংস্কৃতিতে বহু আগে থেকেই তাদের একক আদিপত্য রয়েছে। ফলে তারা খুব সহজেই তাদের স্বীকারী হিসেবে বাংলাদেশকে পেতে পারে। যখন বাংলাদেশের জনসাধারন এই বিষয় গুলো খুব ভালভাবে বুঝতে সক্ষম হয় তখন তাদের স্বার্থে আঘাত লাগে।
ভারত একটি বড় এবং প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর একটি দেশ। তারা অর্থনৈতিকভাবেও সম্মৃদ্ধ। তবে তাই বলে একটি দেশের উপর তারা অন্যায়ভাবে নানা ধরনের অভিযোগ এনে চাপে রাখতে চায় যা আগে সম্ভব হলেও বর্তমান সময়ে তা আর সম্ভব নয়। তারা পেয়াজ নিয়ে যে ধরনের একটি বার্তা দিয়েছে তা আমি মনে করি বাংলাদেশের জন্য ভাল হয়েছে। বাংলাদেশ আগে তাদের উপর সম্পুর্ণভাবে নির্ভর করত এখন তারা বিকল্প খুজছে। ইতমধ্যে পাকিস্তান থেকে পেয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এটা সরকারের পক্ষ্য থেকে একটি যৌক্তিক সীধান্ত হয়েছে। আমরা টাকা দিয়ে পন্য ক্রয় করব কেন আমরা তাদের উপর নির্ভরশীল হব। বাংলাদেশের জনগনও বেশ একই মনোভাব ব্যক্ত করেছে। পেয়াজের মুল্য বাড়তি হওয়ার ঠিক কয়েকদিনের মাথায় আবার পেয়াজের মুল্য পড়তে শুরু করেছে। আমাদের দেশ এবং জনগনের জন্য এটি একটি ভাল মেসেজ বলতে পারি।
ভাই আমি আপনার সাথে একমত তার কারণ আমাদের প্রতিবেশী দেশ হিসাবে অবশ্যই আমরা ভারতের সাথে লেনদেন করতেই পারি। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদের উপরে উপরে দেখায় তারা আমাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখে অথচ তারা ভেতর থেকে কখনোই বাংলাদেশকে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্য রাখেনা। ভারত সরকার কোন কারণ ছাড়াই আমাদের দেশে ৩ মাসের জন্য পেঁয়াজ আমদানি রপ্তানি বন্ধ করেছে। বাংলাদেশের সাথে পেঁয়াজ আমদানির বন্ধ করার কারণে ভারতে আন্দোলন করছে ভারতের কৃষকরা। বাংলাদেশের সাথে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করার সাথে সাথে ভারতের কৃষকরা পিঁয়াজের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না এর জন্য ভারত সরকারের কাছে তারা আবেদন জানাচ্ছে খুব দ্রুত যেন বাংলাদেশের সাথে পেঁয়াজ আমদানি রপ্তানি চালু করে। কারণ ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ হলেও তাদের আচরণটা খুব একটা ভালো নয় তারা বিভিন্নভাবে আমাদের দেশের উপর অত্যাচার করে। আমাদের দেশ বা জাতি কেউ ভুলেনি তাদের সীমান্ত ওখানে বাংলাদেশের মানুষ গুলোকে মেরে মেরে তাদের সীমান্ত কাঁটাতারের উপর ঝুলিয়ে রাখা এবং মর্মান্তিকভাবে তাদেরকে মেরে ফেলা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে ভারত আমাদের দেশের জন্য খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বয়ে আনবে না। ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করার সাথে সাথে আমাদের দেশের সরকার বিকল্প রাস্তা বের করে পাকিস্তান ও চীনের সাথে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। এটা আমাদের দেশের জন্য অনেকটাই পজিটিভ কারণ ভারতের উপর সবসময় বাংলাদেশের নির্ভর হয়ে থাকাটা ঠিক নয়।