অনেক সময় দেখবেন, ট্রাফিক পুলিশ সব কিছু ঠিক থাকার পরেও মামলা দেয়ার জন্য পাগলের মতো ভূল ত্রুটি খুজতে থাকে। যদিও এনারা কোনো টাকা পাবে না মামলা করলে। কেনো এরকম করে? সোজা হিসাব! যতো বেশি মামলা, ততো ভালো রিপোর্ট এবং প্রমোশন বা পুরস্কার পাওয়ার চান্স। মাঝে মধ্যে এচিভমেন্ট দেখানোর জন্য ও অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে।
আমার যতটুকো জানা এই সকল ঘটনা বেশি ঘটে মুলত ব্যাক্তিগ আক্রোশ থেকে, আপনার সাথে আমি একমত, একজন বড়ভাই বলেছিল পুলিশ ঘুস খায়না এটা ভুল, কতো লিমিট পার হলে সে ঘুস খাবে এইটা জানা জরুরী কারন এখানে এখানে একটা কাজ কতোক্ষন পর্যন্ত মানুষ না করে থাকতে পারে এটার একটা লিমিট আছে, এরোকম পুলিশ এর মধ্যেও এমন আছে যে বছরে এতগুলা মামলা ছাড়া বেতন বারবেনা, তখন তারা এটা করার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠে, আর পুলিশ সপ্তাহের সময় তো কোনো কথাই নাই। আমি নিজেও হ্যানস্তার শিকার হয়েছি।
ব্যাক্তিগত আক্রোশ থেকে একটা বাজারের ৪-৫ জন ব্যাবসায়ী কে ধরবে না। যার সাথে ব্যাক্তিগত আক্রোশ, তাকেই ধরবে। ঘুষ খাওযার ব্যাপার টা ভিন্ন। এরমক একটা মিম দেখেছিলাম ফেইসবুকে যে, “যা আছে তাই দে, এই কথাটা কার?”। তো সবার উত্তর ছিলো পুলিশ। পুলিশ যেমন আইনের প্রয়োগ ভালো যায়গায় করে, তেমনি খারাপ যায়গাও ও করে। আমার থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতে বসবাস করি এটা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আর এসব দেশে দূর্নীতি সারাজীবন ই থাকবে। যেসব ঘটনা আপনি আগে নাটক সিনেমায় দেখেছেন, সেগুলোর সব কিছুই কাল্পনিক নয়। অনেক গুলো বাস্তব। পুলিশের কিছু কাজ কাম দেখলে আপনি জীবনেও বিশ্বাস করতে চাইবেন না।
অনেক সময় পুলিশরা ইচ্ছা করলেও সে সৎ থাকতে পারে না। ওনারা চাইলেই আবার সবার নামে মামলা দিতে পারে না। বদলির হুমকি, অমুকের ছেলে, তমুকের নাতি রা অব্দি পুলশকে থ্রেড দেয়। অনেক সময় দেখবেন পুলশ ঘুষ ও নেয়না। কারন তার টার্গেট একটাই, মামলা দিয়ে প্রমোশন কনফার্ম করা। যেনো ভবিষ্যতে আরো বেশি কামাতে পারে।