যুদ্ধ বেধে গেলে এটা ৩য় বিশ্বযুদ্ধে রুপ নিতে পারে। কিন্তু আমি মিডল ইষ্ট এর কয়েকটা দেশের ভাবসাব কিছুই বুঝি না। এরা আসলে কার পক্ষে আর কার বিপক্ষে কিছু বুঝা মুশকিল। ইরান যে ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এটা আসলে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট করার আগে আমেরিকার কাছে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তার পর আমেরিকা গোয়েন্দা দিয়ে তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। আর এই কাজ টা করেছে সৌদি আরব। তারা আসলে কার পক্ষে কাজ করে আল্লাহ জানে। যুদ্ধ বেধে গেলে না জানি সৌদি ইসরায়েলের পক্ষে থাকে। অঅর এদিকে আরেক দেশ জর্ডান ইরানের বেশিরভাগ রকেট তাদের আকাশ সীমায় আটকে দিয়েছে। জর্ডান নাকি ইরানের বিরুদ্ধে। এরকম হলে কি হবে বুঝি না। এদিকে রাশিয়া আবার ইরানের পক্ষে।
ভাই ইরান এমন একটা দেশ যেখানে ইরান সে দেশের মানুষকে কেউ যদি মেরে ফেলে তাহলে সেই লাশ দেখে আগে প্রতিশোধ নেয়। তারপরে তারা লাশের জানাজা দেয় এখন ইরানের আশেপাশে যে সকল দেশ আছে এটা যদি ইরানের সাথে উল্টাপাল্টা কিছু করে, তাহলে এটার ফলাফল যে ভালো হবে না তারা ভালোভাবেই জানে। এখন এখানে মূল সমস্যাটা হচ্ছে স্থানীয় রাজনীতি, অনেক দেশের সাথে ইসরাইলের খুব ভালো সম্পর্ক বা স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে। কিন্তু অনেক আরব দেশ আবার বলেছে তাদের আরব দেশে ভূমি থেকে ইরানকে আক্রমণের জন্য সুযোগ দিবে না। এখন সামনে দেখতে হবে যে আসলে পলিটিক্স কোন দিকে মোড় নেয়।
রাজনীতিতে মোড় যেকোন দিকে নিতে পারে। আমি মূলত আরব দেশগুলোর উপর দোষারোপ করব বিশেষ করে সৌদি আরব যদি ভালোভাবে বিষয়টি সমাধান করে দেয় তাহলে মীমাংসা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে কিন্তু সৌদি আরব নিজেই বিষয়টি নিয়ে জোরালোভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। সৌদির সাথে আমেরিকার ভালো সম্পর্ক থাকবে এটা সৌদি আরব কখনো নষ্ট করতে চায় না এজন্যই হয়তো ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি ইস্যুটা সৌদি আরবের কাছে খুব গুরুত্ব পায় না। তবে যেহেতু এখানে ইরান জড়িত হয়েছে এবং আরো কিছু মুসলমান কান্ট্রি এখানে যুক্ত হয়েছে তো এখন শান্তির জন্য হলেও একটি মীমাংস হতে পারে। যদি ইরান ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাক না গলায় তাহলে যুদ্ধ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকবে। আমেরিকা হচ্ছে সকল নাটের গুরু এবং অস্ত্র বিক্রি করার জন্য আমেরিকা যে কোন খারাপ সিদ্ধান্ত নিতেও দ্বিধাবোধ করে না। ইসরাইল নিজেরা খুব একটা বেশি এই মুহূর্তে আগ্রাসী ভূমিকায় নেই এবং তাদের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি নেওয়ার একটা প্রস্তুতি ছিল কিন্তু শুধুমাত্র আমেরিকার জন্য এখন পর্যন্ত ইসরাইল ও ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিচ্ছে না। আমেরিকা এই দুটো দেশের প্রতি নাড়াচাড়া দিচ্ছে তো এজন্যই হয়তো খুব সহজে সমাধান হওয়া সম্ভাবনা নেই। দেখি আল্লাহ পাক আমাদেরকে আর কত যুদ্ধ বিগ্রহ হত্যা মৃত্যু ও আরো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি করে।