গতকালের খবর অনুযায়ী ইসরায়েল আবারো ইরানে হামলা করেছে। এইবার কিন্তু তার মিত্র দেশ আমেরিকা বলছে যে ইসরায়েলের নাকি আত্যরক্ষার অধিকার রয়েছে। যে কারনে তারা এই হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। প্রথমে মে ইসরায়েল ইরানের কন্সোলেটে হামলা করলো, তারপর ইরানের আত্যরক্ষার অধিকার ছিলো না? তাহলে তারা ইরানকে হামলা না করার জন্য অনুরোধ করেছিলো কেনো? যাই হোক, ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিলো ইরানের পারমানবিক কেন্দ্র গুলো। ইরান জানিয়েছে যে ইসরায়েল যদি তাদের পারমানবিক কেন্দ্র গুলো লক্ষ্য করে, তাহলে ইরান পারমানবিক আইনে পরিবর্তন এনে পারমানবিক অস্ত্র ব্যাবহার করতে বাধ্য হবে। সব খবরের মাঝখানের বিটকয়েনের হাল্ভিং হইয়ে গেলো। বিটকয়েনের দামে আহামরি তেমন কোনো এফেক্ট পড়েনি। আমার মনে হচ্ছে আমরা শর্ট টার্ম বিয়ার মারকেট দেখলেও দেখতে পারি। তবে প্ল্যান বি এর মতে আগামী ৬ মাসে বিটকয়েন ১২০০০০ ডলার পার করার কথা।
ইরানের শিয়াদের মধ্যে আকিদাগতভাবে দেখতে গেলে তাদেরকে অনেক বড় বড় আলেম এর মতে মুসলমানদের কাতারে রাখা যায় না। তার পরেও দেখতেছি বর্তমান বিশ্বে ইরানই একমাত্র দেশ যারা ইউরোপ, আমেরিকা এবং ইসরাইল কাউকে তোয়াক্কা করে না। তাদের সাহসের বাহবা দিতে হবে এখানে কোন সন্দেহ নেই।
এবার আসি বিটকয়েন এর হালভিং প্রসঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সি এর জগতে আসার পর এই নিয়ে আমার দ্বিতীয় বিটকয়েন হাল্ভিং যদিও প্রথম হালভিং এর সময় আমি একদম ফ্রেসার ছিলাম আর এর কারণে তখন আমি বিটকয়েন হালভিং কি এটাই জানতাম না।
যদিও এখন যা একটু বুঝি এর মধ্যে বুঝলাম বিটকয়েন সঠিক পথেই এগোচ্ছে। এর আগেও আমরা এরকমই মার্কেট দেখেছি যে হালবিং শুরু হওয়া থেকে এক বছরের মধ্যে কোন বড় ধরনের পাম্প মার্কেটে দেখা যায়নি যদিও এবারের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন হয়েছে যে হালবিং এর শুরু হওয়ার পূর্বেই বিটকয়েন তার পূর্বের অলটাইম হাই প্রাইস কে ক্রস করে সামান্য একটু এগিয়েছে।
আমার বিশ্বাস আপনার মতই যে বিটকয়েন মার্কেটে আমরা কিছুটা ডাম্পিং দেখতে পারি যদিও আমার মনে হয় না পঞ্চাশের নিচে আবার নামবে। কিন্তু প্ল্যান বি তে আমার মনে হয় ১ লাখ ২০ হাজার ডলার এটা হতে হতে এক বছরই লাগবে।
LB ভাই একটু সাহস দিয়েন ভাই। বা******র কি যেন মনে করে কিছু এলটকয়েন হোল্ডিং করে রেখেছি। তারপর অনেকেই বলাবলি করে সামনে মার্কেট আরো খারাপ অবস্থায় চলে যাবে। মাঝেমধ্যে মনে হয় সব এলটকয়েন হোল্ডিং করার পরিবর্তে বিক্রি করে দিয়ে টাকায় রূপান্তরিত করে রাখি। শরীরটা ভালো যাচ্ছে না তাই মনে হচ্ছে কিছু টাকা রূপান্তরিত করে বাড়িতে রেখে যাই অথবা ব্যাংকে রেখে দেই। আবার অনেকেই অনেক কিছু বলে যে বিটকয়েন নাকি হালভিং হওয়ার এক বছর পরে অনেক বৃদ্ধি পায়। তাদের দেওয়া মন্তব্য ও সাহস দেখে নিজের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি খুঁজে পাই। অনেকগুলো ডলার ছিল সেই ডলারগুলো দিয়ে হাই মার্কেটের সময় কিছু এলটকয়েন কিনে রেখেছি। প্রত্যেক কয়েনে মিনিমাম ২০০ ডলারের উপরে লস রয়েছে এবং সব লস একত্রিত করলে ১৫০০ ডলারের উপরে লস হয়ে যায়। হাজার পাঁচেক ডলার ছিল এগুলো দিয়ে ইথেরিয়াম($3900 করে কিনেছিলাম), WiF($4.63 করে কিনেছিলাম), Solana($183 করে কিনেছিলাম ) Mavia ($6.55 করে কিনেছিলাম) এখন প্রত্যেক কয়েন অর্ধেক করে কমে গেছে। আমার মনে হয় না এই মার্কেট রিকভারি হবে। মাঝেমধ্যে লস দিয়ে বিক্রি করে দেই কি আর করার প্রয়োজনীয়তা কোন আইন মানে না। মাঝেমধ্যে আপনারা একটু সাহস দিলে তাও নিজের মধ্যে একটু ভালো লাগে একটু স্বস্তি খুঁজে পাই। সেরকমই কিছু স্বস্তিমূলক কিছু লেখা নিচে শেয়ার করলাম।
আর আমাদের মধ্যে কমন একটা জিনিস মিল রয়েছে যে আমরা একটু বেশি লাভের আশায় আল্টকয়েন এ ইনভেস্টমেন্ট করি আর পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে আমাদের আসল সহ লস ফেস করি। একটা কথা ভাই মনে রাখবেন যারা বিটকয়েন এ ডি সি এ মেথড ফলো করে লং টার্মের জন্য ইনভেস্টমেন্ট করে তাদের মনে হয় না কখনো লস ফেস করতে হয়। বাস্তব এক্সাম্পল হিসেবে নিজের সাথে আমি তুলনা করতে পারি- আমার অতি ঘনিষ্ঠ একজন লোক আমার কাছ থেকে গত তিন বছরে প্রায় চার হাজার ডলার নিয়েছে এবং সে আমাকে ক্যাশ দিয়েছে, আর তার মূল ইনভেস্টমেন্ট ছিল আল্টকয়েনে আমার বহুবার বলা সত্বেও সে বিটকয়েন বা বিএনবি তে কোন ইনভেস্টমেন্ট করেনি বর্তমানে তার প্রফিট তো এক টাকাও নেই বরং ইনভেসমেন্টকৃত ফান্ড ও তার কাছে নেই সে না বুঝে শুনে ফিউচার ট্রেডিং করতে গিয়েছিল সেখানে একবারে এক লাখ টাকার মতন ধরা খেয়েছে। আর অন্যদিকে আমি নিজে আমার পূর্বের ইনভেস্তৃত ফান্ডের ডলার এর হিসেবে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, ডিসিএ মেথড ফলো করে ইনভেসমেন্ট এখনো চালিয়ে যাচ্ছি এবং বিটকয়েন ষাট এর নিচে নেমে গেলে কিছু রি ইনভেস্টমেন্ট করব এক বছরের জন্য।