তাহলে কি সরকার কোটা বিরোধী আন্দোলনের দাবি মেনে না দিয়ে নিজের পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? সরকারের কি এ দাবি মেনে নেওয়া উচিত? আপনার কি মনে হয়?
আমি কোটা রাখার বিপক্ষে।
তবে, সত্য বলতে আমরা সবাই স্বার্থপর। আমরা আমাদের নিজেদের জন্য আন্দোলন করছি। এমন কাউকে দেখলাম না যারা হিজড়াদের জন্য কোটার কথা বলেছে। এদেশে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত কিংবা অবহেলিত হিজড়ারা। আমি মনে করি তাদের জন্য আলাদা কোটা রাখা উচিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটার কোন প্রয়োজন নেই।
সরকারের পতনের সাথে এই আন্দোলনের কোন সম্পর্ক নেই। সরকার যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে তাহলেও এক পক্ষ অসন্তুষ্ট হবে। জনগণ দিয়ে সরকার নির্বাচিত হয় নি যে জনগণের আন্দোলনের তাদের কিছু আসবে যাবে।
সরকার জানে বৈদেশিক ধারণা গুলো বাংলাদেশ নিয়ে মূলত মুক্তিযুদ্ধের কেন্দ্রিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ইত্যাদি দিয়েই তো বর্তমান সরকার টিকে আছে। হঠাৎ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করলে সরকার বড় ধরনের ধাক্কা খাবে। তাছাড়া লীগ কোটা , লিগে নাতি পুতি কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, মুক্তিযোদ্ধা নাতিপুতি কোটা ইত্যাদি যদি চাকরি ক্ষেত্রে থেকে তুলে দেয় তাহলে সরকারের পক্ষে কথা বলার লোকজন পাওয়া যাবে না। মূলত এ সরকারের দলে দু চারজন কথা বলে মূল কিছুটা পাওয়ার লোভে। যখন বিভিন্ন সুবিধা তুলে দেওয়া হবে তখন এই সরকারের পক্ষে কথা বলা বন্ধ করে দেবে। তবে আমার এলাকাতে আমরা দু চারজন কোটা আন্দোলনের পক্ষে কথা বলা অনেকেই আমাদের জামাত-শিবির হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করছে। তাহলে বলেন আমরা সাধারণ জনতা কোটা আন্দোলনের বিপক্ষে কথা বললেই মুহূর্তের ভিতর অন্য দল করে দিচ্ছে। তবে একটি জবাবদিহিতা বিহীন সরকারের এর চেয়ে ভাল কোন কাজ আমরা আশা করতে পারি না।