Post
Topic
Board Other languages/locations
Re: বাংলা (Bengali)
by
Crypto Library
on 10/08/2024, 22:13:46 UTC
আমি মনে করি দেশ গঠনের জন্য যদি তাদের ৫ বছর লাগে, তারা সেটাই করুক। তবে আমার আশংকা যে বিএনপি এটা হতে দেবে না। বিএনপি অলরেডি যেরকম ছ্যাঁচড়ামো শুরু করছে, মনে হচ্ছে সব ক্রেডিট আসলে ওনাদের নিজেদের। আজকেও এক যায়গায় যাবো বলে বের হলাম, পুরো একটা চৌরাস্তা ব্লক করে ওনারা গান ছেড়ে গাড়িতে নাচানাচি করছেন আর চারদিকের গাড়ি গুলো চুপচাপ বসে আছে। কেউ কিচ্ছু বলছে না কারণ, এখানে কথা বললেই গাড়ি ভাংচুর করবে। আমি মনে করি, সঠিক একটা সিস্টেম করে দিয়ে যাক এই সরকার, যেনো পরে অন্যান্য দল গুলো ক্ষমতায় আসলেও তারা যেনো চাইলেই স্বৈরাচার না হতে পারে। এর মধ্যে পুলিশের কিছু দাবি আছে, যেগুলোর আসলে যুক্তি আছে। পুলিশ চাচ্ছে যে তারা আর কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য কাজ করবে না, তারা চাচ্ছে আলাদা কমিশনের আন্ডারে কাজ করতে। প্রতিটা দল আসলে পুলিশকে নিজের কাজে ব্যাবহার করে। দেশের সংবিধান সংশোধন করা জরুরী। তবে কষ্টের ব্যাপার হলো যে সরকার ক্ষমতায় যাবে, তারাই তো সংবিধান সংশোধন করে নিজেদের মতো করে নেয়। যেমন হাসিনা সরকার সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন এর সিস্টেম ই বদলে দিয়েছে।

কিছু কিছু আফটার ইফেক্ট হয়েছে যেগুলো আপনি আমি বা বাংলাদেশের কেউই বন্ধ করতে পারবে না। যেমনটি বর্তমানে হচ্ছে বিএনপি'র আনন্দ মিছিল করছে সমাবেশ করছে। যারা আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করতো তাদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা করছে সেদিন আমার চাচার পাশের বাসায় আওয়ামী লীগ সমর্থক এর বাসায় হামলা করা হয়েছিল এবং তাদের মধ্যেই কিছু অতি উৎসাহী লোক ছিল যারা আমার চাচার বসাকে লক্ষ্য করে বলতেছিল এটা কেউ ভাঙ্গ। কিন্তু সেটা কোন একভাবে ঠেকানো গিয়েছে । সো এই সহিংসতায় যে শুধু আওয়ামীলীগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা কিন্তু নয় বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আর আমি মনে করি বিএনপি যদি এমনটা করতে থাকে তাহলে আপনার আশংকা উল্টো বিএনপির বিরুদ্ধে যাবে ছাত্র জনতা যেভাবে আওয়ামীলীগকে এবং আওয়ামী লীগের চিহ্নকে দেশ থেকে প্রায় বিল ুপ্ত হয়েছে ঠিক তেমনি বিএনপি অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করলে তাদেরকেও বিলুপ্ত করতে বেশি সময় লাগবে না।

সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হোক। এটাই হোক প্রথম আইন। তারপর সেনাবাহিনী সহ অন্য সকল বাহিনীর প্রবিধান থেকে কিছু পয়েন্ট বিলুপ্ত করতে হবে। এর মধ্যে সবচাইতে বাজে যে প্রবিধান, সেটা হলো আপনি সরকারের কমান্ড মানতে বাধ্য। সরকার তার উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য কোনো কমান্ড দেয়ার পর, বাহিনীর কোনো সদস্যর যদি মনে হয় এটা সঠিক নয়, তবে তারা কোনো রকম প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারবেন না। এরকম মনে হলে, সব জেনেও চুপচাপ ডিউটি করতে হবে, ডিউটি পালনে অপারগ হলে অব্যাহতি দিতে হবে। অবাক করা ব্যাপার হলো এরকম প্রবিধান প্রত্যেক বাহিনীর নিয়মে আছে। আপনাকে খুন করার অর্ডার দিলে আপনাকে সেটাই করতে হবে। যদি না পারেন, তাহলে রিজাইন করতে হবে। যে কারনে, ফ্রন্ট লাইনে থাকা পুলিশ সব সময় ভিলেন হয়ে থাকে। তবে এটাও ঠিক সব বাহিনীতেই কিছু কুকুর থাকে, যারা রাজনৈতিক ইনফ্লুয়েন্সড হয়ে নিজেরা হত্যাকান্ড চালায়। একজন ব্যাক্তি দুইবারের বেশি সরকার প্রধান হতে পারবে না। একজন ২ বারের বেশি এম পি হতে পারবে না। এরকম রুলস করলে দেশে দুর্নীতি, স্বৈরাচার রোধ করা সহজ হবে আশা করি।
শেখ হাসিনা তার স্বার্থের জন্য সংবিধানকে যাচ্ছ তাই ভাবে সাজিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি বন্ধ যেমনটা জরুরী ঠিক তেমনি জরুরী আমাদের সংবিধানের যেসব জায়গায় স্বৈরাচার হাসিনা ছিদ্রি করে দিয়েছে সেগুলো ঠিক করা।
সেনা বাহিনির হাত থেকে তো বলতে গেলে ক্ষমতা সব নিয়েই নাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমি মনে করি পলিটিকাল ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলে এই ধরনের ডিফেন্সে আলাউ না করাই ভালো।