তাদের বক্তব্য অনুযায়ী যারা ছোট ছোট আমানতকারী তারা কিছু কিছু করে টাকা জমিয়ে সেই আমানত গুলো রেখেছে তাই যদি তাদের সেই আমানত তারা হারিয়ে ফেলে সেক্ষেত্রে তারা অনেক বড় ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং তারা এটিও স্পষ্ট করে বলেছে যে যার ব্যাংকে কয়েক কোটি টাকা আছে যদি তার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয় তাহলে সে না খেয়ে থাকবে না কারণ তার অন্যদিকে যথেষ্ট পরিমাণ ইনকামের সোর্স আছে যার মাধ্যমে সেগুলোর রিকভার করতে পারবে। কিন্তু যারা ছোট ছোট আমানতকারী যেমন 1-5 লাখ তারা যদি তাদের আমানত হারায় সেক্ষেত্রে তারা পুরোপুরি সর্বশান্ত হয়ে যাবে। তাই ব্যাংক দেউলিয়া হলে আমানতকারীরা ফেরত পাবে এখন থেকে 2 লাখ টাকা
সোর্স -
https://youtu.be/ZgDMGq6r9wU?si=MQTwLkaQcPOJx4IEকারণ হিসাবে তারা যেটা উপস্থাপন করেছে, আমিও সেটার সাথে একমত। একজন সাধারণ মানুষ ২-১ লাখ টাকা যারা ব্যাংকে রেখেছে, সেগুলো খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের ইনকাম। কিন্তু যাদের ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা, তাদের বেশিরভাগ ইনকাম অবৈধ ভাবে ইনকাম করা। যদিও আমি এটা জেনারেলাইজ করার কথা বলছি না, কারণ কোটি টাকা থাকা মানেই অবৈধ ইনকাম সেটা নয়। তবে আমি বেশিরভাগ মানুষের কথা বলছি।
কিন্তু তবুও, এমন অনেক মানুষ আছে যারা জমি বিক্রি করা টাকা ব্যাংক একাউন্টে রেখেছে, এমন অনেক মানুষ আছে যাদের শেষ সম্বল তারা ব্যাংক একাউন্ট এ রেখে দিয়েছে জীবনের শেষ সময়ের জন্য। এসব মানুষ যদি ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরন পায়, তারা একেবারে পথে বসার অবস্থা হয়ে যাবে।
ভাই সবকিছু হারানোর থেকে কিছু পাওয়া অনেক ভালো। একটি ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা গ্রাহকের আমানত থাকে যদি কোনো ব্যাংক দেওলিয়া হয় তাহলে সেই টাকার দায় কে নেবে ? বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকের ক্ষতিপূরণ দেবেন ? যদি বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০০০ কোটি টাকা খতি পূরন দেয় তাহলে দেশে লাখো কোটি টাকার ক্ষতি হবে। বলতে পারেন কেনো
বাংলাদেশ ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তাদের নিজস্ব কোনো ক্যাশ টাকা থাকে না। তাদের ভল্ট এ যে টাকা থাকে তা হলো নতুন ছাপানো নোট এগুলো শুধুমাত্র অন্যান্য বানিজ্যিক ব্যাংক গুলোকে ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি কোনো ব্যাংকের দায় নিয়ে সেই ব্যাংকের সকল গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে চায় তাহলে টাকা চাপিয়ে সেগুলো দিয়ে হবে আর বড় অযথা টাকা ছাপালে হবে মুদ্রাস্ফীতি তখন টাকার মান হঠাৎ করে বৈশ্বিক বাজারে অনেক কমে যাবে ডলারের দাম বাড়বে আর এমন হলে দেশের কত বড় ক্ষতি হবে তা তো জানেন। ডলারের দাম বাড়লে আমদানি ব্যায় বাড়বে আর তখন আমদানি করা জিনিসপত্রের দাম হবে দ্বিগুণ।
কোন ব্যাংক সহজে দেউলিয়া হবে না আর যদি কোনো ব্যাংকের মালিক তার ব্যাংক চালাতে ব্যার্থ হয় তাহলে সেই ব্যাংক অন্য সবল ব্যাংকের সাথে মার্জ করবে যা ইতিমধ্যে হয়েছে যেমন পদ্মা ব্যাংক মার্জ করেছে এক্সিম ব্যাংক এর সাথে , সরকারি সোনালী ব্যাংক হয়েছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এর সাথে , বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক হয়েছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর সাথে এবং
সিটি ব্যাংক এর সাথে সরকারি বেসিক ব্যাংক মার্জ করা নিয়ে আলোচনা চলছে।
সোর্স -
https://bangla.bdnews24.com/business/h9ut7btpan?utm_source=chatgpt.comসোর্স 2 -
https://www.khaborerkagoj.com/special-report/809791তবে মার্জ করলেও গ্রাহকরা টাকা পেলেও তার জন্য প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হবে। তাই বাংলাদেশে ব্যাংকে টাকা রাখাও এখন অনেক রিস্ক।