--
ভাই যে প্রাইসের কথা বললেন, তাতে আমার মতো গরীব লোকদের জন্য না, এই ব্যয়বহুল স্টারলিংক বড়লোকদের জন্য, আমার জন্য ৫০০-৬০০ টাকার এমবির প্যাকেজ যথেষ্ট। আর ওয়াইফাইতে ৫০০ টাকা+ফোনে ৫০০ টোটাল ১০০০ টাকা হলেই এক মাস চলে যায়। আপনি ১২০ ডলারের কথা বলেছেন, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৫k মতো হবে, এত টাকা খরচ করার চেয়ে না করাই ভালো। এখন যাদের অনেক টাকা রাখার যায়গা নেই, তারা স্টারলিংক আনতে পারেন।
আর এইটা সম্পর্কে যদি ধারনা থাকে, তাহলে আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই, এখন এটা তো ওয়াইফাই এর মতোই হবে? যদি তাই হয় কতটুকু দূরত্ব পর্যন্ত সার্ভিস পাওয়া যাবে?
আসলে স্টারলিংকে যদি আপনি আমাদের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সাথে তুলনা করতে যান তাহলে মিলাতে পারবেন না। আর বাংলাদেশের রিজিয়ন ভিত্তিক আশা করছি স্টারলিং এর পার্সোনাল হোম ভিত্তিক যে প্যাকেজটা সেটা ২০ ডলারের আশেপাশেই হবে। কারণ স্টারলিং প্রত্যেক রিজিয়নের জন্য আলাদা প্যাকেজ রাখে তাদের।
স্টারলিংক মূলত ব্যবহার করা হবে দুর্গম এলাকার জন্য বা কিছু আইটি ফার্ম দের জন্য। আমরা তো সাধারণত ব্যবহার করে থাকি শেয়ার্ড আইপি। যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখুন তাদের একটা ডেডিকেটেড আইপি নিতে কত খরচ করতে হয় প্রত্যেক মাসে। বাংলাদেশ এই ৩০ এমবিপিএস এর ডেডিকেটেড আইপি যদি আপনি নিতে চান তাহলে আপনাকে গুনতে হবে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা।
বাংলাদেশে এখনও অনেক এরিয়া আছে যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, আপনার যদি স্টারলিং সেবা থাকে তাহলে আপনি সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে সেখানে ইন্টারনেট সেবা পেতে পারেন। শুধু তাই নয় যারা নেভিতে কাজ করে তাদেরও স্টারলিংক ইন্টারনেট প্রোভাইড করতে পারবে ।