পহেলা বৈশাখ, শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা

আজকে পহেলা বৈশাখ, বাংলা মাসের প্রথম দিন, আজকের এই দিনে শুভ নববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। অনেকেই পান্তা ভাত খাবে, অনেকেই আজকের এই দিনে হালখাতা অনুষ্ঠান করবে। আবারো সবাইকে শুভ নববর্ষ, বৈশাখী মেলার শুভেচ্ছা।
এই ভিডিওতে দেখলাম স্টারলিং এর সংযোগ নেওয়ার সময় যে সমস্ত এন্টিনা, রিসিভার কিনতে হবে, সব মিলিয়ে সংযোগ নেওয়ার সময় সম্ভাব্য খরচ পড়বে প্রায় ৩৫০ থেকে ৬০০ ডলার, এই জায়গায় আমি সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা ধরলাম, আর মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি ১২ থেকে ১৭ হাজার (সম্ভাব্য), কিন্তু এখানেও ধরলাম মাত্র ৫০০০ টাকা। কিন্তু ভাই, বাংলাদেশের মানুষ এত টাকা দিয়ে কি এই নেটওয়ার্ক চালাবে ? এদিকে ভাই আমার ৮০০ টাকার ওয়াইফাই, তাও আবার তিনজনের শেয়ারে চালাই, আর কি বলবো বলেন।
তবে যাই হোক না কেন, অন্ততপক্ষে বাংলাদেশের জন্য স্টারলিং এর খরচ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত, তা না হলে স্টারলিং সাধারণ গ্রাহকের মাঝে খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
বাংলাদেশের মানুষকে আপনি কি মনে করেন এরা পারবে না, পারবে। ঈদের সময় যদি আপনি বাংলাদেশের সুপার মলগুলোতে মানুষের কেনাকাটা দেখতে পারতেন তাহলে বুঝতে পারতেন বাংলাদেশের মানুষ কতটা সৌখিন। কেউ কেউ দেখলাম টপটেন থেকে ৮ হাজার টাকার গেঞ্জি কিনছে, কেউ ১৩-১৪ হাজার টাকায় জুতা কিনছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনি ভালোভাবে খেয়াল করেন যারা ১৩-১৪ অথবা ৮-১০ হাজার টাকা গেঞ্জি কিনে পড়তে পারে তারা বাংলাদেশে ওই স্টার্লিং হোক অথবা অন্য কোন বড় নেটওয়ার্ক হোক তারা চালাতে পারবে। তাদের কাছে ঐরকম চালানোর মতো যথেষ্ট টাকা পয়সা আছে যদিও আমাদের কাছে নেই। অর্থাৎ যার যার অবস্থান থেকে চিন্তাভাবনা করার ধরন ভিন্ন ভিন্ন। যাদের সামর্থ্য আছে তারা দেখেন অনেকটাই খুশি আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা এ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। আমার এক বন্ধু আছে সে তার স্ত্রীর জন্য গত রোজার মধ্যে এক লক্ষ টাকা বাজেট দিয়েছে অথচ আমার পরিবারের সকলের মিলে ৫০ হাজার টাকা বাজেট দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার নেই। অর্থাৎ যার কাছে সামর্থ আছে তার কাছে টাকা পয়সা খরচ করা কোন ঘটনা না কিন্তু যার কাছে সামর্থ্য নেই তার কাছে ৫০০ টাকা অনেক কঠিন।
ভাই স্টারলিং এর খরচ আর ঈদে শপিং এর খরচের সাথে তুলনা করা উচিত নয়। কেননা মুসলমানদের দুটি উৎসব হলো ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা, তাই সবাই ঈদের আনন্দে অনেক টাকা বাজেট নিয়ে কেনা কাটা করে থাকে। এখন যদি স্টারলিং এর জন্য ৫০-৭০ হাজারের মতো খরচ হয় আবার মাসিক খরচ তাহলে সবার জন্য প্রযোজ্য হবে না। যারা ফ্রিল্যান্সিং করে এবং মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে তাদের জন্য স্টারলিং কিছুই না। আর সরকারি অফিসে স্টারলিং সেবা চালু করবে। এখন যারা, ইমু, ইউটিউব, ফেসবুক, ইত্যাদি চালানোর জন্য স্টারলিং আনবে যা মোটেও যুক্তিসঙ্গত মনে করি না, কারন এত টাকা খরচ করে ইউটিউব চালানো মানেই হয় না। হ্যাঁ, যাদের সাধ্য আছে তাদের কাছে ৫০-৭০ হাজার টাকা হাতের ময়লা। আর মাসিক খরচের জন্য ১২-১৫ হাজার টাকা বেশিরভাগ লোকের মাসিক সেলারীর সমপরিমান, তারা কী এই স্টারলিং আনবে? কখনই না।