আমাকে সবচাইতে বেশি অবাক করেছে একটা ব্যাপার যে, এই যুদ্ধের কারনে ক্রিপ্টো মার্কেটে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। সাধারনত যুদ্ধ শুরু হলে গ্লোবাল মার্কেটে সেটার প্রভাব পড়ে। যেমন যখন রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো, পুরো গ্লোবাল মার্কেটে সেটার প্রভাব পড়েছিলো। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হুহু করে বেড়েছিলো এবং কিছু কিছু পণ্যের দাম ব্যাপক হারে কমেছিলো। ক্রিপ্টো মার্কেট সে সময়ে অনেক বেশি ভলাটাইল ছিলো সেই সময়ে।
তবে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধে ক্রিপ্টো মার্কেটে তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। উল্টো যদি বলি, মার্কেট আরো বেশি পাম্প করেছে। যদিও পাম্প করার কারন এই যুদ্ধ না। এখন যেহেতু যুদ্ধ বন্ধ হলো, আশা করি এটা আরো পজিটিভিটি নিয়ে আসবে।
আমি প্রথমে মনে করছিলাম ডাম্প খাবে মার্কেট, বাট এখন দেখি ভালোই পাম্প হচ্ছে। হঠাৎ করে এতো এতো পাম্প যাওয়ার কারন আমি বুঝতেছিনা। ইথেরিয়ামের অবস্থা দেখছেন? প্রথমে সব ছোট থেকে মাঝারি হোল্ডারদের মারা দিলো আর এখন ধুমায়ে পাম্প মারতেছে। গত সাত দিনে ৩০% উপরে উঠছে। এমনই যদি চলতে থাকে তাহলে আবারো আগের পজিসন গেইন করতে বেশি সময় লাগবে না। যদিও আমার কাছে ইথার নাই।

কিসের সাথে কি পান্তা ভাতে ঘি।
কোথায় ভাই রাশিয়া-ইউ ক্রেন আর কোথায় ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের যুদ্ধ এই দেশের যুদ্ধ তো ভাই সেই এই দুইটি দেশের জন্ম হওয়ার আগে থেকেই হয়ে আসতেছে আবার দুইদিন পরপর শেষ হয়ে যাইতেছে।
আর তাছাড়া এই দুই দেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে এমন কোন বড় রোল প্লে করে না যে বিশ্ব অর্থনীতিতে এই দুই দেশের যুদ্ধ যেটাকে বলে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ এর ফলে কোন ইম্প্যাক্ট করবে। আর এদের যুদ্ধ ভাই বেশি দিন টিকবে না কারণ এরা নিজেরাও জানে যুদ্ধ করতে গেলে এদের ঘাস খায়া বাঁচতে হব কারণ দক্ষিণ এশিয়ার এই থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি গুলো গরিব দেশ।
আর তাছাড়া তাদের যুদ্ধের পূর্বেই তো মার্কেট রিকভার করে আবার বুল সিজনে আসতেছিল। তাই এখানে অন্য কিছু ভাবার অপশন নাই আমি তো আগেও বলছি আপনারা আগে যেটাকে বেয়ার সিজন মনে করতে ছিলেন সেটা ছিল বেয়ার ট্র্যাপ যার মাধ্যমে বড় বড় তিমিরা নিজেদের পকেটে বিটকয়েন ঢুকায়।
আর বর্তমানে যেটাকে ভাবতেছেন যে এটা ট্র্যাপ এটাই আসলে, আসল বুল সিজন তবে এখান থেকে আমি খুব বেশি আশা করি না এর আগেও অনেক জায়গায় বলছি ১২০কে এর আশেপাশে অলটাইম হাই প্রাইস গেলেও যাইতে পারে। সেই সাথে সাথে আমরা অল্ট কয়েন সিজনও দেখতে পারি।
আসলে মার্কেটটা সব সময় আমাদের বিপরীতমুখী পারফরম্যান্স করে, আর হ্যাঁ এটার সাথে আমি একমত যে সব সময় মার্কেট একই গতিতে চলবে না কিন্তু আমি পারসোনালি এটা বিশ্বাস করি যে, মার্কেট সব সময় একই পারফরমেন্স করবে না যেমন এবারের সিজনে বিটকয়েন হালবিং এর পূর্বেই নতুন সর্বোচ্চ দাম তৈরি করে ফেলেছিল।
তবে গণিতে যেমন সূত্র বা ফর্মুলা একই থাকে কিন্তু প্রশ্নগুলো একেক সময় একেক ভাবে এক এক ফরমেটে আমাদের সামনে দেওয়া হয়, ঠিক এই মার্কেটেও সূত্রগুলো একই যেমন বিয়ার ট্র্যাপ, অল্ট কয়েন সিজন না আসা পর্যন্ত বিটকয়েন এর বুল সিজন শেষ হবে না কিন্তু মার্কেট আরেক রূপে আমাদের সামনে এসেছিল ।
আপনারা ভাই উমুক দিবস তুমুক দিবস নিয়ে পোস্ট করেন ভালো কথা। বাট চেষ্টা কইরেন রেলিভেন্ট কিছু পোস্ট করার। দিবস পালনের পোস্ট করলেই মড মেরিট দিতেছে দেখে অনেকে ৩৬৫ দিনে যত দিবস আছে সব পোস্ট মারেন! কেন ভাই। কিছু কিছু জিনিস খুবই অবিয়েস! আপনারা এখানে মা দিবস পালন করতে আসেন না, আসছেন মেরিটের ধান্দায়। আপনার মা বাবা কেউই ফোরাম ইউজার না। এগুলো তারা পড়বেও না জানবেও না। এগুলো পোস্ট না করে যদি ক্রিপ্টো রিলেটেড কোনো দিবসরে নিয়ো ২-৪ লাইন পোস্ট করতেন, তাও ভালো লাগতো। মানুষ কিছু জানতো।
একটা সময় ছিলো যখন টুইটার থেকে নিউজ নিয়ে এসে পোলাপাইন পোস্ট দিতো আর মেরিট এক্সচেঞ্জ করতো। বর্তমান সিচুয়েশনও এমনই লাগে আমার কাছে। আমার কথার সাখে আপনার কথা নাও মিলতে পারে, বাট এইসব অদরকারী দিবসের পোস্ট দেয়া বন্ধ করেন। সেলিব্রেট করার মতো আরো অনেক দিবস আছে। সাতোসির জন্মদিন, বিটকয়েনের জন্মদিন আরো কত কি, বাট না আপনারা হচ্ছেন অন্য লাইনের লোক।
এইটা আমি এর আগেও লক্ষ্য করেছি যে শুধুমাত্র ব্যানার এবং উইশ অথবা কিছু নির্দিষ্ট দিনের ব্যানার দিয়ে একটা পোস্ট দিলেই মডারেটর merit দিয়ে যাচ্ছে। তারা যদি ফেয়ার ভাবে করে করুক সমস্যা নাই, কারণ আমাদের এই বাংলা কমিউনিটি হচ্ছে thread এর মধ্যে সীমাবদ্ধ বাংলা বোর্ড থাকলে হয়তো বা সেখানে অফটপিক নামের আলাদা বোর্ড থাকতো এবং সেখানে এইসব পোস্ট করা হতো?
যদিও আমি লক্ষ্য করেছি ব্যানারওয়ালা পোস্টে মেরিট দেউয়ার পর থেকে অনেক ছোট ছোট অ্যাকাউন্ট গুলো একটিভ হয়ে গিয়েছে এইসব দিন নিয়ে পোস্ট করার ক্ষেত্রে । কবে জানি ভাই এইটা দেখি যে এই ব্যানার নিয়ে আমাদের ইউজাররা মেরিট বাড়ানোর জন্য অপব্যবহার করতে গিয়ে ধরা খাইছে।

তাছাড়া অন্যদিকে আমি এটাও খেয়াল করেছি যে ওই একই পেজে আরো অনেক কোয়ালিটি ফুল পোস্ট রয়েছে বাট সেখানে কোন মেরিট নাই বা থাকলেও পরিমানে কম রয়েছে। সমস্যা হইল এখানে মডারেটর হচ্ছে অন্য ভাষাভাষী, সে যদি বাংলাদেশী বা বাঙালি হতো সে ওয়ান কাইন্ড অফ বাংলাদেশের মেরিট সোর্স হিসেবে ভূমিকা রাখত।