বাইদাওয়ে সবকিছু ইংরেজিতে লিখতে হবে আর নিজের ভাষায় লিখতে হবে। একই রিপোর্ট সকলে করলে স্প্যাম হিসেবে ধরার সম্ভবনা থাকে। নিচে আমি একটি উদাহরণ দিয়ে দিলাম, বোঝার সুবির্ধাতে।

আমার মাথায় তো ভাই এখন অন্য কিছু আসতেছে, আপনাদের আলোচনা দেখার পর আমি তাদের এন্টি ফিশিং ক্যাম্পেইন থ্রেডটি ভিজিট করে আসলাম।
এখন আমার সন্দেহ হইতেছে যে এই ক্যাম্পেইন কতদিন চলবে।
কারন তারা যেই এমাউন্টের পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে আসলেই যদি সেটা দেয় তাহলে ফোরামের মানুষজন আবার এইটারই অপব্যবহার করা স্টার্ট না করে দেয়।
মানে প্রায় আট হাজার ডলারের পুরস্কার পাইতে মানুষ নিজেই ফিশিং ওয়েবসাইট বানিয়ে নিজেই রিপোর্ট করা না শুরু করে দিলে হচ্ছে।

এতো দূরের হিসাব আমি করি নাই লল। তবে এখানে কথা হলো প্রাইজ তো আর আপনি একা পাবেন না। সবাইকে নিয়ে দেয়া হবে। এখন যদি ২০০ জন এখানে এলিজেবেল হয় তাহলে ৮০০০ হাজার ভাগ ২০০ মানে ৪০ ডলার পার পারসন। ফিসিং ওয়েবসাইট বানানো, হোস্টিং করা এসবেই সব শেষ, দিনশেষে থাকবে কি স্ক্যামারদের হাতে। তবে হ্যাঁ এটা সত্য, ১০ টাকা হোক বা ১০০০০ টাকা হোক, এবিউজাররা থাকবেই।
আমি বেশ কিছু একাউন্ট নোটিশ করলাম, ফিশিং ক্যাম্পেইনটিতে, যারা "recently woke up"। বুঝতেই পারতেছেন কি ঘটতেছে ভেতরে ভেতরে। যখনই এমন ক্যাম্পেইন, কনটেস্ট চালু হয় তখনই একদল অল্ট একাউন্ট উড়ে এসে জুড়ে বসে। হয়তো সবাই না বাট অনেকের গতিবিধি কর্মকাণ্ডই সন্দেহজনক। হতে পারে কোনো অল্ট ফার্মের অংশ।
কোট
আমি আপনার সাথে একমত জানাবো।
আমি পার্সোনালি যা মনে করি আমাদের যদি বড় ধরনের আর্নিং করার চিন্তা থাকে, তাহলে কর্পোরেট জব করে কখনোই সেটা করা পসিবল না।
এমন হতে পারে যে কর্পোরের জব করার পাশাপাশি আপনি সাইড বিজনেস চালু করলেন।
কিন্তু আল্টিমেটলি আমি যেটা মনে করি আপনার ইনকাম এর ভলিউম বড় করতে হলে অবশ্যই আপনাকে হয় ফ্রিল্যান্সিং করতে হবে আর নয়তো বিজনেস শুরু করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কেন বলছি আমার দেখা এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা মাত্র ২৫ বছর বয়সে পাঁচ কোটি টাকার উপরে তার ইনকাম নিয়ে গিয়েছে।
আর বিজনেস এর কথা বলতে গেলে আপনার যদি হাজার হাজার কোটি টাকা কামাই করার ইচ্ছা থাকে তাহলে বিজনেস স্টার্ট করা ছাড়া আর কোন রাস্তা নাই।
এখন বলতে পারেন হাজার হাজার কোটি টাকা একটু বেশি বলতেছি তবে বিশ্বাস করেন যারা এখন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক তারাও হয়তো এই ধরনের স্বপ্ন নিয়েই তাদের যাত্রা স্টার্ট করেছে। স্বপ্ন দেখতে কোন বাধা নাই।
আমি হয়তোবা অন্য লাইনে চলে যাচ্ছি তবে আমি বুঝাচ্ছি গদ বাঁধা কর্পোরেট জব এবং সরকারি জব এর পরিপ্রেক্ষিতে এইগুলোর অবস্থান কোথায়।
কর্পোরেট জব বা সরকারি জব করেও বড় অংকের টাকা কামানা যায়, ইও নো হোয়াট আই মিন, লল। যাইহোক আমি মনে করি যে, এই ধরনের জব নিঃসন্দেহে অনেক ভালো, এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই টাইপ জব একটা স্টেবল ইনকাম সোর্স নিশ্চিত করে। তবে "সাপ্লাই এন্ড ডিমান্ড" বলতে একটা কথা আছে। আর দেশের জব সেক্টরগুলোর যা অবস্থা তাতে জব পাওয়াই দুস্কর। এজন্যই হয়তো আমার আশেপাশে যারা আছে তারা আপওয়ার্ক, ফাইবার টাইপ মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিদেশি ক্লায়েন্ট ম্যানেজ করে, নয়তো ডাইরেক্ট বিদেশেই পাড়ি জমায়।
আপনি বিশ্বাস করবেন না, অনেক ভালো ভালো ডিগ্রী করা মানুষ জব ছেড়ে সেল্ফ ইমপ্লয় হওয়া শুরু করতেছে। আমার এক বড় ভাই (সর্ফটওয়ার ইন্জিনিয়ার), জব ছেড়ে নিজের একটা প্রতিষ্ঠান দাড় করিয়েছে, সেখানে তিনি নিজে ভিডিও ইডিটিং এর কাজ করে। সাথে তার এক এক জন টিম মেম্বার এক এক কাজে পারদর্শী। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার, একজন ওয়েব ডেভেলপার, আরেকজন Wordpress, Shopify, SEO স্পেশালিষ্ট। মানে ফুল প্যাকেজ, ছোট খাটো স্টেডিও বলা চলে। শুধু এই না তারা অন্যদেরও কাজ শেখায়। অনেকে বলে কোর্স ব্যবসায়ী কোর্স ব্যবসায়ী, তবে তারা শতখানেক স্টুডেন্ট নেয়না, ৮-১০ জন আর কোর্স শেষে ইন্টার্নশিপের সুযোগ। আমি এমন কম প্রতিষ্ঠানই দেখছি যেখানে ইন্টার্ন শিপের সুযোগ দেয়।
আমি হয়তো একটু অন্য দিকে চলে গেলাম আপনার মতো, সরি।
এটা হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। কাজ শেখার সবচাইতে সঠিক সময় হচ্ছে যতদিন বাসা থেকে কোনো চাপ না আশে। আপনি একবার চাকরিতে জয়েন করে ফেললে তখন আর সময় পাবেন না। আমি ভেবেছিলাম চাকরিতে ঢুকেও বুঝি কাজ শিখতে পারবো, কিন্তু না, চাকরিতে ঢুকে দেখি আমার অফিস টাইমের কোনো লিমিট নাই। ঢোকার টাইম আছে, কিন্তু বের হওয়ার কোনো টাইম নাই। যতক্ষন কাজ, ততক্ষন অফিস। প্রাইভেট সেক্টর এরকমই।
স্কিল ডেভেলপমেন্ট করা সবচাইতে জরুরী। আমার এলাকার ছোটভাই কালকে তার ফাইবারের পেন্ডিং অর্ডারগুলো ফেইসবুকে ষ্টোরি দিছে, দেখলাম ১০ টার ওপর অর্ডার পেন্ডিং আছে। মানুষ তো এরকমই কাজ চায়। আবার অনেকে আছে গিগ নিয়ে বসে, কিন্তু কাজ নাই।
আপনি চাকরিতে ঢুকে এই কথা বলতেছেন, আর আমি না ঢুকেই এই সমস্যা ফেইস করতেছি। এইখানে সবথেকে বড় সমস্যা হলো সময়, কোন দিক দিয়ে যে সময় শেষ হয় টেরই পাইনা। টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে পারতেছিনা, ফলস্বরূপ আন-প্রোডাকটিভ দিন কাটতেছে।
আমি পার্সোনালি মোশন ডিজাইনিং, ভিডিও ইডিটিং (Adobe After Effects) এর কাজ শেখার ট্রাই করতেছি। তবে পরিস্থিতি এমন এসে দাড়িয়েছে, ১ ঘন্টা যে সময় দিবো ডেইলি এর পেছনে সেটা হয়ে উঠতেছেনা।